আন্তর্জাতিক

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্রের পরীক্ষা চীনের, উদ্বেগ ভারতের

ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে রাশিয়া থেকে কেনা অত্যাধুনিক ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। প্রতি সেকেন্ডে তিন কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলা একটি ব্যালিস্টিক লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানল রাশিয়া থেকে কেনা অত্যাধুনিক এই এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা। ২০১৫ সালে রাশিয়া থেকে এই যুদ্ধাস্ত্র কিনলেও এই প্রথম সেই অস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালাল চীন। রুশ সংবাদসূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে চীনা সংবাদ মাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। অবশ্য চীনের কোথায় এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

Advertisement

২০১৫ সালে রাশিয়াকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে এই যুদ্ধাস্ত্র কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয় চীন। কিন্তু ঠিক কয়টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চীন কিনেছে সে বিষয়ে কোনো পক্ষই পরিষ্কার করেনি। চীনই প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সঙ্গে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র কেনার চুক্তি করে। ১০ মিটার উচ্চতা থেকে ২৭ কিলোমিটার উচ্চতায় যেকোনো শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান, ড্রোন এই যুদ্ধাস্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংস করা যায়। ৬০০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা প্রতিপক্ষের অস্ত্রকেও নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এস-৪০০। প্রতি সেকেন্ডে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে এই রুশ যুদ্ধাস্ত্র।

মার্কিন চোখরাঙানি অগ্রাহ্য করে কিছু দিন আগে ভারতও রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ভারতীয় সেনার হাতে এই যুদ্ধাস্ত্র এলে শক্তিশালী চীনের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব হবে ৩৪৮৮ কিলোমিটারের ভারত-চীন সীমান্ত, এমনটাই মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের।

সংবাদমাধ্যমের কাছে চীনা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ লি জি জানিয়েছেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যখন দিন দিন খারাপই হচ্ছে, ঠিক তখনই এই পরীক্ষা চালাল বেইজিং। এশিয়া মহাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তে থাকা সামরিক প্রভাব সামাল দিতে এই রুশ-চীনা যৌথ সামরিক পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থাকার পরও চীনে নিজেদের সামরিক প্রভাব বাড়াচ্ছে রাশিয়া।

Advertisement

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, যেহেতু এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার নীচের স্তরের এস-৩০০ যুদ্ধাস্ত্রও চীনের দখলে আছে তাই সহজে সফল পরীক্ষা করতে পেরেছে বেইজিং।

এনএফ/এমএস