শহরে ঈদের আমেজ। ভোট যাদের গ্রামে, তারা শহর ছাড়ছেন। ভোটের ময়দানে উপস্থিত থাকতে হবে রোববার। এবারের ভোটের হাওয়া অন্যবারের মতো নেই। একপক্ষের প্রচারণা তুঙ্গে। অন্যপক্ষ মাঠে এই আছে, এই নেই। রাজনৈতিক কৌশলে তারা মাঠের দখল নিতে পারেনি।
Advertisement
সরকারে যে দল যখন ক্ষমতায় থেকেছে ,তখন তারা ভোটের বাজার দখলে রাখতে চেয়েছে। পরম্পরায় এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিরোধী দলের কাজ হচ্ছে রাজনৈতিক কৌশল দিয়ে মাঠের হিস্যায় ভাগ বসানো। বিএনপি সেখানে সুবিধা করতে পারেনি। তবে ঐক্যফ্রণ্টের মলাটে ঢুকে মাঠে কিছুটা হলেও উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পেরেছে।
প্রার্থিতাও রদবদল হয়েছে আইনগত কারণে এবং জোটের কৌশলে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আদালত থেকে প্রার্থী ও প্রতীক বিষয়ে নির্দেশনা এসেছে। অভিযোগ এসেছে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতা কর্মীর উপর হামলা আটকের। আওয়ামী লীগ সেই অভিযোগ খণ্ডন করে গেছে।
নির্বাচন কমিশন ভোটের মাঠ সমতল রাখতে পারছে না বলে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল কমিশনে। বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন কমিশনে নালিশ বা অভিযোগ নিয়ে গেছে প্রায় নিয়মিত। আওয়ামী লীগও জানিয়েছে তাদের মতামত। এতে ভোটের প্রচারণার ঢঙে পরিবর্তন আসেনি। আধিপত্য বজায় ছিল নৌকা প্রতীকেরই। দ্বিতীয় অবস্থানে পাখা প্রতীককে দেখা গেছে। ধানের শীষের নাজুক উপস্থিতি ছিল। এ অবস্থাতেই শুক্রবার সকালে শেষ হলো নির্বাচনী প্রচারণা।
Advertisement
ভোটের আবহাওয়া দেখে সাধারণের মনে শংকা আছে এখনও তারা ভোট কেন্দ্রে যাবার মতো পরিবেশ পাবেন তো, ভোটকেন্দ্র কতোটা থাকবে ভোটবান্ধব? ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপির পক্ষ থেকেও এই শঙ্কার কথা বলা হলেও, তারা নির্বাচন থেকে সরে যাবার কথা বলেনি একবারও। বরং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাবার কথাই বলছেন। প্রতিবাদ হিসেবে ভোটকেন্দ্রে যাবার আহ্বান তাদের।
মহাজোট, আওয়ামী লীগ ভোটের ষোলআনা পরিবেশ রয়েছে, একথা বলে আসছে শুরু থেকেই। প্রকাশিত নানা জরিপ দেখিয়ে ভোটারদের কাছে তারা নিজেদের আত্মবিশ্বাস উপস্থাপন করছে। মতবিরোধের মাঝেও নির্বাচন কমিশন বলছে-তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে চান।
এই যে গ্রাম বা নির্বাচন এলাকামুখী মানুষের মিছিল, তা প্রমাণ করে অবশেষে সকলেই ভোটের দিন উদযাপন করতে মুখিয়ে আছে। একথা সত্য ১৯৯১,১৯৯৬,২০০১,২০০৮ এ ভোট উৎসবে যে দখিনা হাওয়া ছিল, তা এবার এখনও বইতে শুরু করেনি। কোথাও আটকে আছে। তবে নিশ্চিত-যে কোন মূহূর্তে ভোট উৎসবের পুরনো সেই হাওয়া বইতে শুরু করবে।
লেখক : হেড অব নিউজ, সময় টিভি।
Advertisement
এইচআর/এমএস