স্বাস্থ্য

ঢামেক হাসপাতালের মাসিক আয় ২ কোটি টাকা

সরকারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মাসিক আয় প্রায় ২ কোটি টাকা। হাসপাতালে আগত রোগীদের বিভিন্ন ধরনের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি, রেডিওথেরাপি পরীক্ষা-নিরীক্ষা, কেবিন পেয়িং ওয়ার্ড ভাড়া, জরুরি ও বহিঃবিভাগে টিকেট বিক্রি থেকে এ অর্থ আয় হচ্ছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাজিমুননেছার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার প্রতি রোগীদের বিশ্বাস ও আস্থার পরিমাণ বেশি থাকায় রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সুষ্ঠুভাবে রোগ নির্ণয়ের লক্ষ্যে হাসপাতালে নতুন নতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপিত হচ্ছে। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের তুলনায় হাসপাতালের আয়ও বাড়ছে।  তিনি জানান, হাসপাতালের এক মাসে সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ বুলেটিন-২০১৫ অনুসারে ঢামেক হাসপাতালে গত বছর মোট ১১লাখ ৩০ হাজার ৯শ’২৮জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। তন্মধ্যে ৮ লাখ ৭ হাজার ৫৮ জন বহিঃবিভাগে, ৩ লাখ ২৩ হাজার ৮৭০ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে। মোট রোগীর মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬শ’৫৬ জন। চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৫১৯ জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালে আগত রোগীরা মোট ৩০টি খাতে অর্থ পরিশোধ করছে। খাতগুলো হলো সিটি স্ক্যান, এমআরআই, এক্সরে (বহিঃবিভাগ), এক্সরে (জরুরি বিভাগ), আলট্রাসনোগ্র্রাম, আলট্রাসনোগ্র্রাম (এফএনএসি), কার্ডিওলজি (ইসিজি), এনজিওগ্র্রাম, ইকোগ্রাম, ই.টি.টি, রেডিওথেরাপি বিভাগ, ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি বিভাগ, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগ, হিমোডায়ালাইসিস, এন্ডোসকপি, হেমাটোলজি (ল্যাব), কলোন্সোকপি, চক্ষু বিভাগ, এ.বি.জি (আইসিইউ),শিশু অনকোলজি, কেবিন চার্জ, পেয়িং বেড চার্জ, অপারেশন চার্জ, টিকেট ফি (বহিঃবিভাগ), ভর্তি ফি (বহিঃবিভাগ), টিকেট ফি (জরুরি বিভাগ) ভর্তি ফি (জরুরি বিভাগ), টিকেট ফি (বার্ন ইউনিট), টিকেট ফি (হাসপাতাল-২), অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ও লিথট্রিপসি অপারেশন ইত্যাদি। জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক অনুসন্ধানকালে জানতে পারেন গত মে মাসে হাসপাতালের মোট মাসিক আয় হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫০ টাকা। প্রধানত ৫টি খাত থেকেই অধিকাংশ আয় এসেছে। তন্মধ্যে রেডিওলজি বিভাগ থেকে ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭শ’টাকা, ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৯৬০ টাকা, রেডিওথেরাপি বিভাগ ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫শ’ টাকা, কেবিন ভাড়া বাবদ ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৬৭৫ টাকা ও পেয়িং বেড থেকে ১৩ লাখ ৬১ হাজার ৬শ’ টাকা। হাসপাতালের একজন সিনিয়র অধ্যাপক জানান, প্রতি মাসে দেড় থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় হলেও সরকারি আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অনেক সময় ১০/২০হাজার টাকার অভাবে অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি মাসের পর মাস বিকল  হয়ে পড়ে থাকে। কারণ হাসপাতাল থেকে আয়ের সমুদয় টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারের ফান্ডে জমা দেয়া হয়। ফলে বাজেটের অতিরিক্ত একটু বেশি পরিমাণ টাকার জন্য সরকারের শীর্ষ মহল থেকে সবুজ সংকেতের প্রয়োজন হয়। বিকল যন্ত্রপাতি খরচে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থ ব্যয়ের সুযোগ থাকলে হাসপাতালের আয় আরো অনেক বৃদ্ধি পেতো বলে তারা মন্তব্য করেন। এমইউ/এসএইচএস/এমআরআই

Advertisement