একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। দেশের মতো জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও এখন আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠেছে আসন্ন সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশের এই নির্বাচনকে সামনে রেখে জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের নানা প্রত্যাশার কথা বলেছেন। দাবি করছেন সুষ্ঠু নির্বাচনের।
Advertisement
প্রবাসীদের দাবি- অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হউক। এ নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী করার জন্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সূচকে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
জার্মান গ্রিন পার্টির সিনিয়র নেতা এবং জার্মান পার্লামেন্টের সদস্য প্রার্থী শাহাবুদ্দিন মিয়া দাবি করেছেন দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচনের। কমিউনিটি ব্যক্তি ড. আমানুল্লাহ জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে জনগণের জন্য কাজ করতে আহ্বান জানান। জার্মানি প্রবাসী ব্যবসায়ীদেরও দাবি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং পরবর্তী সরকারের কাছে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হউক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দ্বন্দ্ব সংঘাত এবং হানাহানিমুক্ত একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এমটাই প্রত্যাশা জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
Advertisement
৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন৷ বাংলাদেশের এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশের জনগণের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের উন্মাদনাও কম নয়।
বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে বসবাসকারী বহু মানুষ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আশা করছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতা শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের পথ রচনা করে দিতে পারে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছে। তাদের আশা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ওপর নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে চাপ বাড়াবে।
২০১৪ সালের মতো না হয়ে এবার বিএনপি নির্বাচন বর্জন না করে নির্বাচন করছে, যদিও তাদের দাবি পূরণ করা হয়নি। গত ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন দু’জন নারী রাজনীতিক। তারা হলেন শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন শেখ হাসিনা।
Advertisement
এমআরএম/জেআইএম