আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকায় অনেক কাজ করতে পেরেছি। তবে এখনও বহু কাজ বাকি। ধারাবাহিকতা থাকলে কাজগুলো শেষ করতে পারতাম। সেটা নির্ভর করবে জনগণের ওপর।
Advertisement
৩০ তারিখ যদি তারা ভোট দেয় তাহলে আবার আসতে পারব এবং কাজগুলোকে শেষ করতে পারব। নইলে মানুষের ভাগ্য মানুষ বেছে নেবে। এখানে আমার কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। কেননা আমার নিজের জীবনে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, মহাপরিচালক বেগম নাসরিন আফরোজ, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, প্রটোকল অফিসার খুরশীদ আলম, সহকারী পরিচালক মো. মকবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, গর্ব অনুভব করি জাতির পিতার কন্যা হিসেবেই। এ পদটাকে কীভাবে উপভোগ করবো সেই চিন্তা আমি করি না, মানুষের কল্যাণে নিজেকে কতটুকু নিয়োজিত করতে পারলাম সেটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি হচ্ছি বাবার কন্যা ‘ফাদারস ডটার।’ সন্তান হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করি। আমি জাতির পিতার কন্যা।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে এটুকুই চাইব আপনারা সবসময় আমাকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা হিসেবেই একান্ত আপনজন হিসেবে দেখবেন। সেটাই আমি চাই। সেটাতেই আমি গর্ববোধ করি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।’
সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি থাকি বা না থাকি, আপনাদের কাছে আবেদন থাকবে- দায়িত্বটা যথাযথভাবে পালন করবেন, কারণ আপনারা সরকারি কর্মচারী।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আপনাদের বেতন-ভাতা কিন্তু দেশের ওই সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায়ই হয়। কাজেই তাদের সেবা করা, তাদের কল্যাণ করাটা আপনাদেরই দায়িত্ব। কখনই দায়িত্ব অবহেলা করবেন না।’ এফএইচএস/এএইচ/পিআর