একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। রংপুর-৩ (সদর) আসনের মহাজোট মনোনীত প্রার্থী জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত রংপুরে প্রচারণায় অংশ নেননি। এদিন বিকেলে এরশাদের পক্ষে নগরীতে শোডাউন করেছে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টিসহ অঙ্গসংগঠন। ১৯৯১ সাল থেকে এ আসনটি ধরে রেখেছে জাতীয় পার্টি। তিনি এ আসন থেকে এবারও নির্বাচন করলেও মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে শুরু করে যাচাই-বাছাই, প্রতীক বরাদ্দ, গণসংযোগ, পথসভা কোনো কিছুতেই অংশ নেননি। তবে লাঙ্গলের দুর্গখ্যাত রংপুরে প্রার্থী হয়েও এরশাদের এমন অনুপস্থিতি কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করছেন দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
Advertisement
জাপার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির বলেন, এরশাদ স্যারের অনুপস্থিতিতে ভোটের মাঠে কোনো প্রভাব পড়েনি। ব্যালেটেও পড়বে না। স্যার অসুস্থ থাকায় এতোদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন। এখন তিনি কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।
জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রংপুরের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীই এরশাদ স্যারের প্রতিচ্ছবি। তারা সবাই মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। লাঙ্গলে ভোট চেয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। এখানকার মানুষ জানে স্যারের শারীরিক অবস্থার কথা। তাই এরশাদভক্ত ভোটাররা স্যারের পক্ষেই রায় দেবেন।
এদিকে প্রচারণার শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে এরশাদের পক্ষে নগরীতে শোডাউন করা হয়। বিকেলে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে শোডাউনটি বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
Advertisement
এ সময় শোডাউন থেকে লাঙ্গলে ভোট চেয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগরের সভাপতি সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। শোডাউনে রংপুর মহানগর ও জেলা জাপার নেতাকর্মী ছাড়াও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। সেখানে ১৬ দিন চিকিৎসা শেষে গতকাল বুধবার রাতে দেশে ফেরেন তিনি। সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে ঢাকা সিএমএইচএ ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।
জিতু কবীর/আরএআর/জেআইএম
Advertisement