খেলাধুলা

স্টিভেন স্মিথকে বিপিএলে পাচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স!

এ যেন বাংলা সাহিত্যের এক চিরন্তন ছোটগল্প। যার কাহিনী শেষ হইয়াও হয় না শেষ। স্টিভেন স্মিথের বিপিএলে খেলা নিয়ে চলছে একের পর এক নাটক। এই প্রথমবারেরমত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্মিথ।

Advertisement

স্মিথও উচ্ছসিত ছিলেন বিপিএলে খেলার ব্যাপারে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রকাশ করে তিনি সেই উচ্ছাস প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু নানা জটিলতা এবং নাটকীয়তার কারণে তাকে বিসিবির পক্ষ থেকে বিপিএলে খেলার ব্যাপারে ‘নিষেধ’ করে দেয়া হয় তাকে।

কিন্তু নাটকীয়তা যেন এখানেই থামছে না। বিপিএলে খেলার ব্যাপারে আবারও সুযোগ তৈরি হয়েছে স্টিভেন স্মিথের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সই আবার তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। আগের অবস্থানে থাকলে, স্মিথের বিপিএলে খেলা প্রায় নিশ্চিত।

বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির কারণে নিষিদ্ধ থাকায়, বিপিএল তাকে ফ্রি’ই পাওয়া যাচ্ছিল। এ সুযোগটাই নিতে চেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে এক প্রকার চুক্তিও করে ফেলেছিল ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি। বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটি কুমিল্লাকে এ বিষয়ে প্রথমে অনুমতিও দিয়েছিল।

Advertisement

কিন্তু এ জায়গায় বাদ সাধে বিপিএলের অন্য ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। তাদের যুক্তি, প্লেয়ার ড্রাফটের বাইরে নাম ছিল স্মিথের। যে কারণে তাকে আর কেউ দলে নিতে পারবে না। এ বিষয়টা নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এবং বিসিবির পক্ষ থেকে সমঝোতার চেষ্টা করা হয় ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে। কিন্তু কেউ আর সমঝোতায় না আসায় শেষ পর্যন্ত বিসিবি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে স্মিথের বিষয়ে ‘না’ই করে দেয়।

কিন্তু আবারও বিসিবির পক্ষ থেকে একটি চিঠি পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই বিপিএলে স্মিথের খেলার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে।

বিসিবির পক্ষ পাঠানো সেই চিঠি নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ সালাহউদ্দিন মিডিয়াকে বলেছেন, ‘বোর্ডের পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি প্লেয়ার্স ড্রাফট তালিকার বাইরে একজন করে খেলোয়াড় দলভুক্ত করতে পারবে।’

এই চিঠি পাওয়ার পরই স্মিথের আবারও কুমিল্লার হয়ে বিপিএলে খেলার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। কুমিল্লাও পূনরায় যোগাযোগ শুরু করেছে স্মিথের সঙ্গে। চুক্তির বিষয়াদি ঠিক হলেই স্মিথ হয়তো প্রথমবারেরমত খেলতে চলে আসবেন আগামী বিপিএলে।

Advertisement

আইএইচএস/এমকেএইচ