তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বসবাসরত কর্মজীবীরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে নিজ নিজ এলাকায় যাচ্ছেন। একই সঙ্গে টানা তিনদিনের ছুটি পেয়ে অনেকে ছুটে চলছেন গ্রামের বাড়ি। ফলে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে।
Advertisement
দুই কোটি মানুষের বসবাসের এ ঢাকা প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। যাদের সিংহভাগই নিজ এলাকায় ভোটার। ফলে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রাজধানী ছেড়ে তারা নিজ এলাকায় যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী চাপ দেখা গেছে। স্টেশন কর্তৃপক্ষের ধারণা, যাত্রীদের এ ভিড় বিকেল থেকে আরও বাড়বে। কারণ, নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ঢাকায় চাকরিজীবীরা আজ অফিস শেষ করে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে রওয়ানা দেবেন।
সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনের ২ নম্বর প্লাটফর্মে থেকে ছেড়ে যায় রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনের যাত্রী হাসিবুর রহমান হাসিব বলেন, আমাদের মত সাধারণ জনগণের একবার ক্ষমতা আসে জাতীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার। আর এই ভোট প্রদান করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। যে কারণে নির্বাচন উপলক্ষে ছুটি পাওয়ায় নিজ এলাকায় যাচ্ছি।
Advertisement
অগ্রিম টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আব্দুল মালেক শাহ। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীক কারণে দীর্ঘ দিন পরিবার নিয়ে রাজধানীতে বসবাস করলেও আমরা ভোটার সিলেটের নিজ এলাকায়। যে কারণে আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল (শুক্রবার) বাড়ি যাব। তাই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহে আজই এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানীতে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী নাগরিকরা ভোট দিতে নিজ গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন, তাই কমলাপুরে রেলযাত্রীর চাপ বেড়েছে। যেহেতু আজ অফিস শেষ করেই নির্বাচনের জন্য ছুটি হচ্ছে তাই আজ বিকেল থেকে আগামীকাল, পরশু (শুক্র-শনিবার) যাত্রীর চাপ আরও বাড়তে পারে।
রেলওয়ের বাড়তি নিরাপত্তানির্বাচনকালীন যেকোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে রেল চলাচলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিগত বিভিন্ন সময়ে সহিংসতার কারণে রেলওয়ের ওপর নাশকতার বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিহির কান্তি গুহ জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে জোনাল-ডিভিশনাল কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে কর্মকর্তাগণ ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করছেন। যেকোনো বিষয়ে তারা তাৎক্ষণিক জানিয়ে দিতে পারবেন। এছাড়া পেট্রোলিং ডিউটির পাশাপাশি রাতের প্রতিটি ট্রেনে নিরাপত্তায় ট্রেন ইনেসপেক্টর দায়িত্বে থাকবে।
Advertisement
এএস/আরএস/আরআইপি