প্রথম ইনিংসের পুঁজিটা যে একেবারে পাহাড়সমান হয়ে গিয়েছিল, এমন নয়। তবে মেলবোর্ন টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে অস্ট্রেলিয়াকে অস্বস্তিতে ফেলতে চেয়েছিল ভারত। সেটা অবশ্য হয়নি। শেষবেলায় ৬ ওভারের ব্যাটিং সময়টা ঝক্কি ছাড়াই পার করে দিয়েছেন দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস আর অ্যারন ফিঞ্চ। বিনা উইকেটে ৮ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
Advertisement
এর আগে ৭ উইকেটে ৪৪৩ রান তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। সফরকারি দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রান পেয়েছেন কম বেশি সবাই। চেতেশ্বর পূজারা করেছেন সেঞ্চুরি। মায়াঙ্গ আগারওয়ালের পর হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা।
২ উইকেটে ২১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল ভারত। পূজারা ৬৮ আর কোহলি ছিলেন ৪৭ রানে। পূজারা তার ক্যারিয়ারের ক্যারিয়ারের ১৭তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে তবেই সাজঘরে ফিরেছেন। কোহলিরও হাফসেঞ্চুরি হয়েছে।
তবে ভারতীয় অধিনায়ক তো হাফসেঞ্চুরি নয়, সেঞ্চুরির রাজা। আরও একবার সেই আকাঙ্খিত সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। যেটা হতো তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৬তম। কিন্তু হলো না।
Advertisement
১৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন কোহলি। ২০৪ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৮২ রান করে মিচেল স্টার্কের শিকার হন ভারতীয় অধিনায়ক। পরে পূজারা সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছোঁয়ার পর খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনিও।
১০৭ রানে থাকার সময় প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প হারান ভারতের 'নাম্বার থ্রি'। ৩১৯ বল মোকাবেলায় গড়া তার টেস্ট মেজাজের ইনিংসটিতে ছিল ১০টি বাউন্ডারির মার।
তৃতীয় উইকেটে কোহলি আর পূজারার জুটিতে আসে ১৭০ রান। কোহলি ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে আজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে মাত্র ৬ রান যোগ করেই সাজঘরের পথ ধরেন পূজারা।
এরপর পঞ্চম উইকেটে আজিঙ্কা রাহানে আর রোহিত শর্মার ৬২ রানের জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে রিশাভ পান্তকে নিয়ে রোহিতের ৭৬ রানের আরেকটি জুটি। মেলবোর্নে সেঞ্চুরির হুঙ্কার দিয়ে মাঠে নামা রাহানে ৩৪ রানে এলবিডব্লিউ হন নাথান লিয়নের বলে। ৩৯ করে পান্ত হন স্টার্কের শিকার।
Advertisement
এরপর রবীন্দ্র জাদেজা মাত্র ৪ রানে জস হ্যাজলউডের কাছে উইকেট দিলে ইনিংস ঘোষণা করে দেন ভারতীয় অধিনায়ক কোহলি। ১১৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রোহিত।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩টি উইকেট নিয়েছেন প্যাট কামিন্স। মিচেল স্টার্কের শিকার ২টি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন জস হ্যাজলউড আর নাথান লিয়ন।
এমএমআর/এমকেএইচ