রাজনীতি

ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবে প্রভাবিত ইসি : বিএনএফ সভাপতি

ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের কারণে প্রার্থী এবং ভোটাররা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেছেন, ‘অনেকেই বলছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু সংবিধান বলে নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিন্তু আদতে আমরা তা দেখছি না। নির্বাচন কমিশন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত।’

Advertisement

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভবনে ইসি সচিবের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আবুল কালাম আজাদ।

বক্তব্যের শুরুতে বিএনএফ সভাপতি সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান, ‘দেশে যে নির্বাচন হচ্ছে সেটি দলীয় সরকার না ইসির অধীনে হচ্ছে?’ এরপর সংবিধানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন দলীয় সরকার নয়, হতে হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিন্তু অনেকেই বলছেন, এমনকি ইসি কর্মকর্তাদেরও অনেকে বলছেন, নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে।’

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিভিন্ন দিক থেকে আমরা হুমকির মুখে। আমাদের ৫৫ প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই নির্যাতিত, নিগৃহীত হয়েছে। লাঞ্ছিত হয়েছে। গতকালও (বুধবার) টাঙ্গাইলে মারধর করা হয়েছে। গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। কর্মীদের হাসপাতালে আহতাবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের দলীয় প্রার্থী ও সমর্থকদের মারধরে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা জড়িত। এসব বিষয় কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের ইঙ্গিত বহন করে না।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমার, আমার দলের প্রার্থী ও ভোটারদের নিরাপত্তা চেয়েছি। আমরা চাই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হোক। এই মুহূর্তে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন তারাও থাকুক। আমরাও নির্বাচনের শেষদিন পর্যন্ত থাকতে চাই। তবে নির্বাচন হতে হবে ইসির অধীনে। সরকারের দায়িত্ব ইসিকে সহযোগিতা করা।’

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে বিএনএফ সভাপতি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। কর্মী, সমর্থক ও ভোটাররাও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে। এটির কারণ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে, ইসির অধীনে নয়। নির্বাচন কমিশনকে আমরা যেভাবে দেখতে চেয়েছিলাম সেভাবে দেখছি না। প্রভাবিত ইসি। রুলিং পার্টির (ক্ষমতাসীন দল) মাধ্যমে ইসি প্রভাবিত।’

জেইউ/এসআর/এমকেএইচ

Advertisement