২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস বড়দিন। খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব। এটি বছরের সবচেয়ে বড় উৎসব হিসেবে পরিচিত। তবে এবার সারা বিশ্বের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও বড়দিনের দৃষ্টিনন্দন আয়োজন নজর কেড়েছে প্রবাসীদের। অস্ট্রেলিয়ার গির্জায় রঙিন বাতি আর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বড়দিনের সাজে।
Advertisement
দিনটিতে খ্রিস্টানরা তাদের গির্জা, বাসা, বাগান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্রিসমাস ট্রি, মোমবাতি ও আলোকসজ্জাসহ নানা সরঞ্জামাদি দিয়ে সাজিয়েছে। এটা জীবন যেন আনন্দঘন ও আলোকিত হয়, তারই বাহ্যিক প্রকাশ। উপহার সামগ্রী নিয়ে সবাই নিজ পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবান্ধবের সঙ্গে আনন্দ মেতে উঠেছে।
এ দিনের হাসির ও কৌতূহলের বিশেষ দিক হলো কিংবদন্তি সান্তাক্লস এর আগমন। অদৃশ্য সান্তা ক্লজ গোপনে উপহার সামগ্রী দিয়ে আসেন, এমন বিশ্বাস করে আনন্দ পায় শিশুরা। মানব শান্তি ও মানবকল্যাণই এ দিনের মূল কথা।
অস্ট্রেলিয়ান সমাজে জন্ম ও বেড়ে ওঠা প্রজন্ম অন্যদের সঙ্গে এই উৎসবে যোগ দেয়। মৌসুমে কেনাকাটার যজ্ঞ পড়ে যায়। বিপণিবিতানগুলোতে হিড়িক পড়ে যায় মূল্য ছাড়ের। ফলে কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকেন প্রবাসীরাও।
Advertisement
সিডনির বাংলাদেশ খৃস্টান অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বড় দিন পালন করা হয়েছে। এ দিনে দেশটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ক্রিসমাস দিবসে, শিশুরা সনাতন চিত্র সান্টা ক্লাউসের কাছ থেকে সংগ্রহের বা ক্রিসমাসের গাছের মধ্যে উপহার গ্রহণের আশা করে। এ সময় সমস্ত স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা এবং অনেক দোকান ক্রিসমাস ডে বন্ধ করা হয়।
নিরক্ষরেখা থেকে দূরবর্তী দক্ষিণায়নে ২২ ডিসেম্বরের কাছাকাছি দিবস ২৫ ডিসেম্বরকে রোমান বর্ষ পুঞ্জিতে উৎসব দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ইউরোপের স্ক্যান্ডেনেভীয় দেশগুলোতে ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে জানুয়ারির প্রথম পর্যন্ত ১২ দিন ধরে এ উৎসব চলে। এ রীতি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিসমাস উৎসবকেও প্রভাবিত করেছে।
তবে বাইবেলে যিশু জন্মদিনের কোনো সুনির্দিষ্ট দিবসের উল্লেখ করা হয়নি। এটাও স্পষ্ট নয় যে ২৫ ডিসেম্বরের সঙ্গে যিশুর জন্মের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা। যদিও এ দিবসকেই যিশুর জন্মদিবস হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। মধ্যযুগে ইউরোপে এ দিবস উদযাপন একটি রেওয়াজে পরিণত হয়।
এমআরএম/আরআইপি
Advertisement