বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে, দেশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। এ কারণে দলে দলে ভোট কেন্দ্রে যেতে হবে এবং ভোট গণনা শেষে বাড়ি ফিরতে হবে।
Advertisement
বুধবার বিকেলে বগুড়া সদর উপজেলার বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বগুড়া-৬ (সদর) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মির্জা ফখরুল বলেন, বগুড়ার মাটিতে জন্ম হয়েছে ধানের শীষের এবং বগুড়া থেকেই ধানের শীষের বিজয় হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে দেশে গণতন্ত্র থাকবে, না স্বৈরতন্ত্র চলবে। সরকার নির্বাচন বানচাল করার জন্য সব ধরনের কাজ করছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাচ্ছে।
Advertisement
বর্তমান সরকারকে জুলুমবাজ ও নির্যাতনকারী উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিনা অপরাধে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। সারাদেশের মানুষের একটাই আকাঙক্ষা সরকার পরিবর্তন। ৩০ ডিসেম্বর সেই পরিবর্তনের দিন।
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এবারও মনে করেছিল একই কায়দায় নির্বাচন করে আগামী ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করে খাবে। কিন্তু এবার তা হবে না, আমরা নির্বাচনে আছি এবং থাকব। সরকারের কত জোর আছে এবার দেখা যাবে। আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য পুলিশ লেলিয়ে দেয়া হয়েছে।
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখনও সময় আছে ভালো হয়ে যান। আপনারা আমাদের ভাই, ছেলে সমতুল্য। পুলিশের মধ্যে ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে। পুলিশের একটি দল আজকে ড. কামালের সঙ্গে দেখা করে মাফ চেয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ।
বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহম্মেদ খান রুবেলের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একেএম মাহবুবর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন প্রমুখ।
Advertisement
বগুড়া সদর উপজেলায় নির্বাচনী জনসভা শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে গুজিয়া ও দাড়িদহ নামক স্থানে মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।
লিমন বাসার/আরএআর/পিআর