ভ্রমণ

দক্ষিণাঞ্চলে নৌপথে যাতায়াতের সময়সূচি

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য সহজ ও আরামদায়ক উপায় হচ্ছে নৌপথ। আর নৌপথের প্রধান বাহন লঞ্চ। ঢাকা থেকে মাদারীপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, ভাণ্ডারিয়া, নোয়াখালী বা এর আশপাশের এলাকায় যেতে লঞ্চই নিরাপদ মাধ্যম। অন্যান্য মাধ্যমের চেয়ে কম খরচে আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করে লঞ্চগুলো।

Advertisement

লঞ্চের ধরন : এসব রুটে কয়েক ধরনের লঞ্চ রয়েছে। এগুলো ১ তলা, ২ তলা ও ৩ তলা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। কোন কোন লঞ্চে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি এটাচ বাথরুম রয়েছে। এছাড়া ফ্লাট-স্ক্রিন টিভি, সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিন, সেলুন, স্টেশনারি শপ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, নামাজের স্থান প্রভৃতি সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

আসন: লঞ্চে ৩ ধরনের আসন ব্যবস্থা রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণি বা ডেক, শোভন চেয়ার, দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিন, প্রথম বা ভিআইপি কেবিন।

বুকিং: লঞ্চের টিকিট অগ্রিম বুক করা যায়। তার জন্য সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। বুকিং করা টিকিটের জন্য লঞ্চ ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে লঞ্চে আসতে হবে। টিকিট বাতিল করতে চাইলেও কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে জানাতে হয়।

Advertisement

> আরও পড়ুন- শীতে পাহাড় ও সমুদ্রের হাতছানি

ভাড়া কেমন: বেশি সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন প্রতিটি কেবিনের ভাড়া ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা। ফ্যামিলি রুমের (৬ জন) ভাড়া ৪,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা। নরমাল ডাবল কেবিনের ভাড়া ১,২০০ থেকে ১,৬০০ টাকা। নরমাল সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা। ডেকের ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। ১২ বছরের নিচে শিশুদের ভাড়া দিতে হয় না।

লঞ্চসমূহ: ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে যেসব লঞ্চ ছাড়ে, সেগুলো হলো- গ্রিন লাইন, বাঙ্গালী, সুরভী-৮, পারাবত-২, সুন্দরবন-৭, পারাবত-৭, পারাবত-৯, পারাবত-১১, কালাম খান-১, সুন্দরবন-১২, পারাবত-১২, কীর্তনখোলা-১০, সপ্তবর্ণা-৯, গাজী সালাউদ্দিন, তরীকা-২, অ্যাডভেঞ্চার-১, ফারহান-৯, কালামখান-১, ক্রিস্টাল ক্রুজ, কর্ণফুলী-১০, দিঘলদী, টিপু-১২, পূবালী-১, ইয়াদ-১, দীপরাজ-৪, সাব্বির-৩, কিং সম্রাট, অগ্রদূত প্লাস প্রভৃতি।

সময়সূচি: একসময় সন্ধ্যা বা রাতেই লঞ্চগুলো চলাচল করত। এখন দিনেও চলে। ভোর সোয়া ৬টায় ও সকাল ৯টায় লঞ্চ ছাড়ে। বিকেল ৫টা থেকেও লঞ্চ ছাড়ে। এছাড়া রাত সাড়ে ৭টা ও সোয়া ৯টায় দু’দিক থেকে লঞ্চ ছাড়ে। তবে সঠিক সময় জানতে সংশ্লিষ্ট লঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করে নেওয়া ভালো। তা না হলে সদরঘাটে গিয়েই সময় জেনে নেয়া যায়।

Advertisement

> আরও পড়ুন- বর্ষায় নৌ-ভ্রমণের সতর্কতা

নিরাপত্তা: লঞ্চে নিরাপত্তার জন্য আনসার বাহিনী রয়েছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেন। নৌপথে যাত্রার সময় লাইফ জ্যাকেট রাখতে পারেন। সম্ভব না হলে লঞ্চে কোথায় লাইফ বয়া রাখা আছে সেটা জেনে নিন। জরুরি অবস্থায় নিজের ও পরিবারের জন্য বয়ার ব্যবস্থা করুন।

খাবার: লঞ্চে দোকান থেকে স্ন্যাকস জাতীয় খাবার কেনা যায়। ভারি খাবারের জন্য লঞ্চে অবস্থিত রেস্তরাঁয় যোগাযোগ করতে পারেন। খাবার অর্ডার করে কেবিনে বসে কিংবা গিয়েও খেতে পারেন।

এসইউ/জেআইএম