পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে (বুধবার)। বক্সিং ডের যে টেস্টটি হবে সেঞ্চুরিয়ানে। এই মাঠের পিচ আবার দক্ষিণ আফ্রিকার আর দশটা পিচের মতো নয়। এখানে দিন যত গড়ায়, পিচের চরিত্র বদলায়; অনেকটা উপমহাদেশের উইকেটের মতো।
Advertisement
সিরিজের প্রথম টেস্টটিতেই নিজেদের স্বস্তির উইকেট পাচ্ছে পাকিস্তান। সফরকারিরা স্বভাবতই বেশ খুশি। দল নিয়ে নিজের দেশে পা রাখা পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার তো সেঞ্চুরিয়ানকে সংযুক্ত আরব আমিরাতই মনে করছেন। পাকিস্তান কোচের ভাষায়, ‘আমি গত বছর এখানে টেস্ট দেখেছি। এটা অনেকটা আমরা যে আরব আমিরাতে খেলি তেমন। পিচটা ন্যাড়া ছিল। তবে আমি নিশ্চিত নই, এখানে কেমন হবে।’
টসের ৪৮ ঘন্টা আগে থেকেই পিচ ঢেকে রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, প্রথমার্ধে পিচটা পেসারদের সাহায্য করবে। দ্বিতীয় ভাগে সাহায্য পাবেন স্পিনাররাও। সেজন্যই পাকিস্তান অস্ত্র শানিয়ে রাখছে। প্রধান অস্ত্র হিসেবে তারা ব্যবহার করতে চাইছে লেগস্পিনার ইয়াসির শাহকে।
টেস্ট শুরুর আগেই অবশ্য দুঃসংবাদ এসেছে পাকিস্তান শিবিরে। বক্সিং ডে টেস্টে তারা পাচ্ছে না সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা মোহাম্মদ আব্বাসকে। তারপরও পেস আক্রমণটা বেশ শক্তিশালী দলটির। মোহাম্মদ আমির ফিরেছেন। হাসান আলি আছেন। সঙ্গে যোগ হয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদির মতো তরুণ।
Advertisement
তবে সরফরাজ জানালেন, তার মূল অস্ত্র হবেন ইয়াসিরই। পাকিস্তান দলপতি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যদি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বশেষ টেস্ট সিরিজের কথা বলেন, সেটার পিচ ভিন্ন ছিল। এখানে সব বিদেশি দলই সংগ্রাম করে। এশিয়ান দলগুলো যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় করে। এখানকার কন্ডিশন অবশ্যই আলাদা হবে। তবে আমাদের বিশ্বমানের একজন স্পিনার আছে, যে কিনা ৩৩ টেস্টে ২০০ উইকেট পেয়েছে। আমরা জানি, দক্ষিণ আফ্রিকা তিন বছরের মধ্যে উঁচু মানের লেগস্পিনার খেলাতে পারেনি। তাই আমাদের অ্যাডভান্টেজ থাকবে। আশা করছি, ইয়াসিরকে খেলতে বিপদে পড়বে তারা।’
এমএমআর/এমকেএইচ