আন্তর্জাতিক

জয়ের পরেও দলীয় কোন্দল কংগ্রেসে

সাফল্য পাওয়া কঠিন। কিন্তু সাফল্য ধরে রাখা আরও কঠিন। এই প্রবাদটি খুব ভালোভাবে টের পাচ্ছে কংগ্রেস। চলতি মাসেই ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। বিপুল সংখ্যগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে দেড় দশকের বিজেপি শাসনের অবসান ঘটেছে ওই রাজ্যে।

Advertisement

ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশেও সরকার গঠন করেছে কংগ্রেস। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারপরে অনেক রাজ্যের ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস। যার কারণে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। সেদিক থেকে দেখলে এই তিন রাজ্যে জয় রাহুল গান্ধীর কাছেও বড় একটা সাফল্য।

কিন্তু এই সাফল্যের ভার বহন করতে গিয়েই দেখা দিয়েছে সমস্যা। মন্ত্রিসভা গঠন এবং মন্ত্রিত্ব ভাগ নিয়ে দেখা দিয়েছে দলীয় কোন্দল। যার জেরে প্রবল প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কংগ্রেসকে।

ছত্তিশগড়ের মন্ত্রিসভা এখনও গঠিত হয়নি। একটি খসড়া তালিকা তৈরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে সেই তালিকায় নাকি নাম নেই বিধায়ক অমিতেশ শুক্লার। এটা জানার পরে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তার কথায়, জানতে পেরেছি যে, ক্যাবিনেটের সদস্য হিসেবে যারা শপথ নেবেন সেই তালিকায় আমার নাম নেই। গত তিন প্রজন্ম ধরে আমরা গান্ধী পরিবারের পাশে আছি। এটা তার প্রতি অবিচার বলে দাবি করেছেন এই বিধায়ক। গান্ধী পরিবারের কাছে এর বিচার চেয়েছেন তিনি।

Advertisement

একই ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছিল রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশেও। ওই দুই রাজ্যে জটিলতা দেখা দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে। যা ঘিরে বিভিন্ন নেতার সমর্থকরা বিক্ষোভও করেছে।

একই সমস্যা দেখা দিয়েছে কর্ণাটকেও। সেখানে জেডি(এস)-এর সঙ্গে জোট করে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। ওই রাজ্যে সাতবারের কংগ্রেস বিধায়ক রামালিঙ্গা রেড্ডি মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় সোমবার বিক্ষোভ দেখিয়েছে তার সমর্থকরা।

টিটিএন/জেআইএম

Advertisement