আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ৯ বছরে এক বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়ে অনন্য ও ঈর্ষণীয় অবস্থান তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিচক্ষণতা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তা দিয়ে এক নতুন বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে সফলতা এসেছে কূটনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রেই। বন্ধন তৈরি করেছেন বিশ্বব্যাপী বলে মন্তব্য করেছেন আবুধাবি আওয়ামী লীগ নেতারা।
আবুধাবি আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রবাসীদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্থানীয় জাফরী হোটেল হল রুমে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ সভায় আবুধাবি আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রবাসীবান্ধব সরকার, তাই প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
Advertisement
বক্তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১১-তে পৌঁছেছে। পরিকল্পনা করেছেন চট্টগ্রামকে দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর বানানোর। বাস্তবায়ন হচ্ছে ১০০ ইকোনমিক জোন। অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজরকাড়া সাফল্য হিসেবে দেখা দিচ্ছে পদ্মাসেতু।
আবুধাবি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমিন মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জনতা ব্যাংক আবুধাবি শাখার ব্যবস্থাপক আ. রাজ্জাক মোল্লা, বিশেষ অতিথি আ. হাই, আইউব আলী চৌধুরী অলি, শাহ আলম ভূইয়া, বশির ভূইয়া, ইউনূস চৌধুরী ইমু, শাহাজাহান, মোহাম্মদ সরোয়ার, জাহাঙ্গীর খান।
বক্তব্য রাখেন- তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী সেলিম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মনসুর, সহেল মাঝি, আবু হোরারায় পারভেজ, সুহেল আহাম্মদ স্বপন, মোহাম্মদ ফারুখ, সেলিম তালুকদার, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
বর্তমান সরকার সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানি ভাতা ৯০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করাসহ বছরে দুটি উৎসবভাতা প্রদান করছে। বিভিন্ন শ্রেণির যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, শহিদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে মাসিক সর্বনিম্ন ২৫ হাজার এবং সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
Advertisement
৬৭৬ জন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে মাসিক সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা হারে প্রদান করা হচ্ছে, জানান বক্তারা।
এমআরএম/এমকেএইচ