১৪ দিন ধরে মায়ের মৃতদেহ আগলে রাখল ছেলে। এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের কলকাতায়। রোববার রাতে থানায় ফোন করে ওই যুবক জানায়, তার নাম মৈত্র ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমি বিই-২২০ থেকে ফোন করেছি। আমার মা মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকদিন আগে। বডিটা নিয়ে যান।
Advertisement
ওই ফোন পাওয়ার পরেই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে বেল বাজাতেই দরজা খুলে দেন ত্রিশ বছর বয়সী এক যুবক। তিনিই এক তলার একটি ঘরে নিয়ে যান পুলিশকে।
সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরের ঘরে বিছানার উপর পড়ে রয়েছে এক বৃদ্ধার মরদেহ। কঙ্কালসার চেহারাই শুধু হয়নি, পুরো শরীরই পচে গলে গেছে। তার পাশে গিয়েই বসে পড়েন ওই যুবক। তিনি পুলিশকে বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে মা মারা গিয়েছেন। তার পর মায়ের দেহ নিয়ে ওই ঘরেই ছিলেন তিনি।
দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজ খবর করা শুরু করেন তদন্তকারীরা। তারা জানতে পারেন, কৃষ্ণা নামের ওই মৃত বৃদ্ধা ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। কৃষ্ণার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছরের মতো। ২০১৩ সালে মারা যান গোঁরাচাদ। কৃষ্ণার একমাত্র ছেলে মৈত্র।
Advertisement
পুলিশ রাতেই মৈত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জেরা করতে গিয়ে উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কখনও মৈত্র বলেছেন, কৃষ্ণার মৃত্যু হয়েছে আট-নয়দিন আগে। আবার কখনও বলছেন, ১৮-১৯ দিন আগে। কিন্তু কেন তিনি মা মারা যাওয়ার পর কাউকে খবর না দিয়ে মায়ের মরদেহের সঙ্গেই ছিলেন, তার কোনও উত্তর দেননি মৈত্র।
প্রতিবেশীরা বলেন, ছোট বেলা থেকেই সামান্য ‘পাগলাটে’ আচরণ করতেন মৈত্র। গত দু’বছরে তা মাত্রা ছাড়া হয়ে যায় বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
টিটিএন/এমএস
Advertisement