সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিএলের শেষ রাউন্ডে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ইস্ট জোন। আলোকস্বল্পতায় দিনের প্রায় ৮ ওভার বাকি থাকতেই থামিয়ে দেয়া হয় খেলা। তবে ৮২.১ ওভারেই ৩৮০ রান করে ফেলেছে তারা। হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৪ ব্যাটসম্যান।
Advertisement
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ওপেনার রনি তালুকদারের উইকেট হারায় ইস্ট জোন। দ্বিতীয় উইকেটে প্রায় ওয়ানডে স্টাইলে রান তুলতে থাকেন ইমরুল ও মুমিনুল। মাত্র ১৪২ বলে দুজন মিলে যোগ করেন ১৩৬ রান। বেশি মারমুখী ছিলেন ইমরুলই। মাত্র ৪৮ বলে তুলে নেন প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারের ২১তম হাফসেঞ্চুরি।
কিন্তু এই হাফসেঞ্চুরিকে ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি ইমরুল। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় মোশাররফ রুবেলের বলে স্টাম্পড হয়ে ফেরত যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ১২ চারের মারে মাত্র ৭৯ বলে ৭৮ রান করেন ইমরুল।
তৃতীয় উইকেটেও ভালো জুটি পায় ইস্ট জোন। ইয়াসির আলিকে সাথে নিয়ে ৬১ রান যোগ করেন অধিনায়ক মুমিনুল। কিন্তু তিনিও ফিরে যান সেঞ্চুরির আগেই। দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৮২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন মুমিনুল।
Advertisement
অধিনায়কের বিদায়ে ছোট্ট বিপর্যয় দেখা দেয় ইস্ট জোনের ইনিংসে। মুমিনুলের পরপরই ইয়াসির আলি ৩৯ ও মোহাম্মদ আশরাফুল আউট হয়ে যান ১৩ রান। ২১৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইস্ট জোন। তবে এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান ও জাকির হাসান।
দিন শেষের ঘণ্টাখানেক আগে ব্যক্তিগত ৫৭ রানের মাথায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বসেন জাকির আলী। ভেঙে যায় ঠিক ১০০ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি। তবে লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদুল হাসান।
সপ্তম উইকেটে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সাথে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। তাইজুল ফেরেন ৩২ রান করে। প্রায় ৮ ওভার বাকি থাকতেই দিন শেষের ঘোষণা দেন দুই আম্পায়ার। ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল। ৮ উইকেটে ৩৮০ রান করে ইস্ট জোন।
সেন্ট্রাল পক্ষে তাসকিন আহমেদ, আবু হায়দার রনি, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোশাররফ রুবেলের প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন।
Advertisement
এসএএস/এমএস