খেলাধুলা

আরিফুলের ২ রানের আক্ষেপ, রাজ্জাকের ৭ উইকেট

সিলেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শেষ রাউন্ডে সেঞ্চুরির সুযোগ তৈরি করেও তা করতে পারেননি ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক। দুজনই থেমেছেন ৮০ রানের আশেপাশে। আর চট্টগ্রামে সেঞ্চুরির একদম দোরগোড়ায় পৌঁছেও ফিরতে হয়েছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হককে।

Advertisement

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাউথ জোনের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আরিফুলের নর্থ জোন। কিন্তু শুরু থেকেই বাঁহাতি স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের ঘূর্ণিজালে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। টপঅর্ডারদের মধ্যে কেবল জুনায়েদ সিদ্দিকী বলার মত ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন।

এছাড়া মিজানুর রহমান ২৯, ফরহাদ হোসেন ২৪, নাঈম ইসলাম ৫, জহুরুল ইসলাম ৩ ও ধীমান ঘোষ ১২ রানে আউট হয়ে গেলে ১৩৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে নর্থ জোন। আব্দুর রাজ্জাক একাই নেন ৪ উইকেট।

সেখান থেকে ৭ম উইকেট জুটিতে ১৩৫ রান যোগ করেন দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুল হক ও জিয়াউর রহমান। ১০৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কার মারে ৬৯ রান করে জিয়া সাজঘরে ফিরলে ভেঙে যায় জুটি।

Advertisement

শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলের সংগ্রহ বড় করায় মন দেন আরিফুল, পৌঁছে যান প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারের ৯ম সেঞ্চুরির কাছাকাছি। কিন্তু এতেও বাঁধ সাধেন আব্দুর রাজ্জাক।

দলীয় ২৯৩ ও আরিফুলের ব্যক্তিগত ৯৮ রানের মাথায় তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন রাজ্জাক। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হন আরিফুল। ২৯৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় নর্থ জোন।

সাউথের পক্ষে বল হাতে একাই ৭ উইকেট নেন রাজ্জাক। ২৯.৪ ওভারের স্পেলে ১০ মেইডেনের সাহায্যে মাত্র ৬৯ রান খরচায় ৭ উইকেট নেন তিনি। অন্য ৩ উইকেট নেন শফিউল ইসলাম, নাহিদুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান।

এসএএস/এমকেএইচ

Advertisement