সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একজন বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক। তিনি বাংলা ব্যাণ্ডদল দলছুটের প্রতিষ্ঠাতা এবং অন্যতম প্রধান সদস্য ছিলেন। সঞ্জীব দলছুটের চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান রচনা ও সুরারোপও করেছেন। এখনো মুখে মুখে ঘোরে তার গান।
Advertisement
আগামীকাল মঙ্গলবার ২৫ ডিসেম্বর তার জন্মদিন। প্রয়াত এই শিল্পীর জন্মদিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ‘সঞ্জীব চত্বরে’ সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘৭ম সঞ্জীব উৎসব’।
এই উৎসবে অংশ নেবেন সঞ্জীব-অনুরাগী কিছু ব্যান্ড আর সংগীতশিল্পী। এবার উৎসবে গান করবেন কণ্ঠশিল্পী জয় শাহরিয়ার, বে অফ বেঙ্গল, শহরতলী, সিনা ও বাংলা ফাইফ, প্রিয়, গানকবি, অর্জন, দুর্গ ও সুহৃদ।
এ উৎসব আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি এবং আজব কারখানা। উৎসব শুরু হবে বিকেল চারটায়, চলবে রাত নয়টা পর্যন্ত।
Advertisement
সঞ্জীব চৌধুরী ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকালকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গোপাল চৌধুরী এবং মাতা প্রভাষিনী চৌধুরী। নয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সপ্তম।
ছোটবেলায় হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন ও এরপরে ঢাকার বকশী বাজার নবকুমার ইন্সটিটিউটে নবম শ্রেণীতে এসে ভর্তি হন ও এখান থেকে ১৯৭৮ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১২তম স্থান অর্জন করেন।
১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও মেধা তালিকায় স্থান করে নেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা শেষ না করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
কবি, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, গায়ক এবং সংগঠক হিসেবে খ্যাতি ছিল মেধাবী সঞ্জীব চৌধুরীর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে আশির দশকে সাংবাদিকতা শুরু করেন সঞ্জীব চৌধুরী। আজকের কাগজ, ভোরের কাগজ ও যায় যায় দিনসহ বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ কাজ করেছিলেন যায় যায় দিনের ফিচার এডিটর হিসেবে।
Advertisement
সাংবাদিকতার পাশাপাশি ‘শঙ্খচিল’ দলে সংগীতচর্চা করতেন সঞ্জীব। ১৯৯৬ সালে সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সাথে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘দলছুট’। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পার যৌথ উদ্যোগে এই ব্যান্ডের অ্যালবামগুলো হলো- আহ্ (১৯৯৭), হৃদয়পুর (২০০০), আকাশচুরি (২০০২) এবং জোছনা বিহার (২০০৭)।
এমএবি/এলএ/এমএস