মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন কংগ্রেসকে জানিয়েছে যে, তারা চায় তালেবানের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামরিক চাপ প্রয়োগ করতে। তাদের বক্তব্য হলো, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে প্রচেষ্ঠা তারা অব্যাহত রেখেছে তারই অংশ হিসেবে কংগ্রেসের উচিত তাদের এমন আবেদনে সাড়া দেয়া।
Advertisement
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন নিয়ে একটি কৌশলগত পত্র চলতি সপ্তাহে কংগ্রেসের কাছে দাখিল করে। সেখানে স্পষ্টভাবে তারা কংগ্রেসকে জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে যে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন তার সঙ্গে দ্বিমত আছে তাদের।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন আফগানিস্তানে থাকা মোট ১৪ হাজার সৈন্যর অর্ধেক ২০১৯ সালের মধ্যে ফিরিয়ে নেয়া হবে। আর ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর পদত্যাগ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। গণমাধ্যমের প্রতিবেদেন থেকে জানা যায়, সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত থাকায় পদত্যাগ করেন তিনি।
প্রতিরক্ষমন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ট্রাম্পের এমন পরিকল্পনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে চলতি সপ্তাহেই তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা আরও কিছু দিন থাকা দরকার। কিন্তু ট্রাম্প তার এমন পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেন।
Advertisement
ট্রাম্পের সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন রাশিয়া ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো। কিন্তু ওয়াশিংটনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক একজন ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন ইঙ্গিত প্রদান করা ঠিক হবে না যে, তারা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রস্তুত।
পেন্টাগন এ বিষয়ে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে মার্কিন কংগ্রেসকে অবহিত করে বলে, ‘এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে আফগানিস্তানে শুধু সেনা মোতায়েন রাখা নয় একই সঙ্গে সেখানে জঙ্গিদের দমনে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনের ওই কৌশলগত পত্রে বলা হয়, ‘তালেবানের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামরিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরকে। যখন আফগান সরকারের মাধ্যমে দেশটিতে শান্তি উদ্যোগকে সহজতর করতে সহিংস প্রচেষ্টা ও সহিংসতাকে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে তখন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।’
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement