ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের প্রাণহানিতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সুনামির আঘাতে ইন্দোনেশিয়া যেন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে। সুনামিতে এখন রোববার পর্যন্ত কমপক্ষে ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৭৪৫ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ৩০ জন। শনিবারের ওই সুনামির আঘাতে শত শত বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। সুন্দা স্ট্রেইট উপকূলীয় এলাকায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের প্রভাবে সুনামির সৃষ্টি হয়েছে। জাভা দ্বীপ ও সুমাত্রার মাঝখানে অবস্থিত সুন্দা স্ট্রেইট উপকূল জাভা সাগরকে ভারত মহাসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।
Advertisement
তবে আগে থেকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। হঠাৎ করেই সুনামির আঘাতে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। প্রবল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে শত শত বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় সুমাত্রা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় জাভা উপকূলে আঘাত হানে সুনামি।
ক্র্যাকাটোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাতের কারণেই সুনামি সৃষ্টি হয়েছে। ওই আগ্নেয়গিরি থেকে আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। জীবিতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যেই তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। সুনামির কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে গেছে। কারিতা বীচের মোহাম্মদ বিনতাং বলেন, আকস্মিক পানির স্রোতে পর্যটন শহর অন্ধকারচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করেছে।
এর আগে ভূমিকম্পজনিত সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমরাও ভূমিক্ম্পসহ নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি। বিশেষ করে বাংলাদেশ রয়েছে ভূমিকম্প ঝুঁকিতে। এজন্য ভূমিকম্প মোকাবেলায় প্রস্তুতি থাকতে হবে। ভূমিকম্প বলে-কয়ে আসেনা। কিন্তু এজন্য করণীয় রয়েছে। এ জন্য আমরা কতোটা প্রস্তুত সে ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হবে। নিতে হবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আমরা আশা করবো ইন্দোনেশিয়া এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
Advertisement
এইচআর/জেআইএম