আপনার সঙ্গী সারাক্ষণ পাশে বসে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকছেন। কিংবা আপনি নিজেই স্মার্টফোনের নেশায় বন্দি। তাহলে ভাববেন আপনি আর আপনার সঙ্গী টেকনোফেয়ারেন্স নামক রোগে আক্রান্ত। যদি এই নেশা আপনাকে পেয়ে বসে তাহলে গোল্লায় যাবে আপনার যৌনজীবন কিংবা দাম্পত্য রসায়ন।
Advertisement
বিশ্বখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে গবেষণার বরাত দিয়ে তো এমন তথ্যই দেয়া হয়েছে। গবেষকদের মতে, আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার প্রণয়কে স্মার্টফোটের চেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে কেউ ফেলতে পারে না। স্মার্টফোন নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকা মানে আপনার সঙ্গীকে বঞ্চিত করা।
স্মার্টফোন কিভাবে সম্পর্ককে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে অনেক গবেষণাই হয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিজহ্যাম ইয়ং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা টেকনোফেয়ারেন্স নামক রোগের সন্ধান দিচ্ছেন। ১৪৩ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা দেখেছেন সম্পর্ক ও টেকনোফেয়ারেন্সের মধ্যের রসায়ন ব্যস্তানুপাতিক।
অর্থাৎ ভেঙে বললে ব্যাপারটা এরকম দাঁড়ায়, যে দম্পতির জীবনে টেকনোফেয়ারেন্স নামক অসুখের পরিমাণ বেশি তাদের সম্পর্কের বন্ধন তত ঠুনকো। অন্য দিকে যে বিছানায় স্মার্টফোনের অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ সেখানে সম্পর্কের বন্ধন বেশ শক্তিশালী ও অটুট।
Advertisement
কিন্তু কেন এরকম হয়। গবেষণা বলছে, প্রকৃতপক্ষে এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির অনুপ্রবেশে সম্পর্কিত ব্যক্তি অস্তিত সংকটে ভোগেন। মনে করেন তার চেয়ে ফোনের উলটো দিকে থাকা মানুষটি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এর ফলে একে একে আত্মবিশ্বাস, লিবিডো, যৌন আকর্ষণ সবই চক্রবৃদ্ধি হারে কমতে থাকে কিংবা কমে যায়। যার ফলে জন্ম নেয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে শীতলতা ও অবসাদ।
এসএ/জেআইএম