দেশজুড়ে

হাটহাজারী-পটিয়ার ওসিকে প্রত্যাহার চাইলেন ধানের শীষের দুই প্রার্থী

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে হাটহাজারী মডেল থানার এবং পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার চেয়েছেন চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের দুই প্রার্থী।

Advertisement

দুই ওসি হলেন হাটহাজারী মডেল থানার বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর ও পটিয়া থানার শেখ মো. নেয়ামত উল্লাহ। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের দুই প্রার্থী হলেন যথাক্রমে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও এনামুল হক এনাম।

রোববার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম অভিযোগ করে বলেন, ‘ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীমের ভাই মো. সেলিম ও ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের উত্তর পাশে আমাদের গাড়িবহরে হামলা করে। হামলাকারীরা আমাদের ওপর হামলা করে উল্টো হাটহাজারী থানায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেছে।’

Advertisement

হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীরের প্রত্যাহার দাবি করে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘হাটহাজারী থানা পুলিশ ধানের শীষের পক্ষের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে গায়েবি মামলা দিচ্ছে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে হুমকি দিচ্ছে। ছিফাতলী ইউনিয়নে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা হয়েছে দুইবার, গড়দুয়ারা এলাকায়ও হামলা করা হয়েছে। আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে।’

এ বিষয়ে জানতে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভাই তেমন কিছু না। একটু আধটু হইছে আরকি। বুঝেন তো। আমি প্রার্থী ইবরাহিম স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কোনও অভিযোগ দিলে, আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব ।’

রোববার সকালে অপর একটি সম্মেলনে চট্টগ্রাম-১২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী এনামুল হক এনাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় এ পর্যন্ত ৬০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে। নেমপ্লেট ছাড়া পুলিশের পোশাক পড়া সদস্যরা গিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি করছে। গণসংযোগকালে সরকারদলীয় সমর্থকরা হামলা করছে। পটিয়া থানা পুলিশের কাছে এসব অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই ওসি নেয়ামত উল্লাহকে প্রত্যাহার করে নিতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে এনাম আরও বলেন, ‘আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পুলিশ প্রশাসন ও সরকারদলীয় সমর্থকরা একজোট হয়েছে। এলাকায় গণসংযোগ যাতে করতে না পারি, সেজন্য রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘শুধু পুলিশ নয়, সরকারদলীয় সমর্থকরা শান্তির হাট, কমল মুন্সির হাট, বুধপুরা, কোলাগাঁও, বাদামতলী, কুসুমপুরা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ভাঙচুর চালায়। এসব বিষয়ে ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।’

এ বিষয়ে জানতে পটিয়া থানার ওসি নেয়ামত উল্লাহ’র সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

জেডএ