সুপ্রিম কোর্টের মাজার সংলগ্ন মসজিদে চুরির ঘটনায় তিন নৈশপ্রহরীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রোববার তাদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে শনিবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে মসজিদের ১১টি সিন্দুক থেকে চুরির ঘটনা ঘটে।
Advertisement
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মসজিদ ও মাজারের সিন্দুক ভেঙে চুরির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন জাগো নিউজকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশপথে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে মুখোশধারী কিছু লোককে মসজিদের ভেতরে থাকা সিন্দুক ভেঙে অর্থ নিয়ে যেতে দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ১২টি সিন্দুক থেকে আনুমানিক ২০ লাখের বেশি টাকা নিয়ে গেছে চোরেরা।
নাজমুল হুসাইন আরও বলেন, নিয়মিত খোলা হয় এমন ১১টি সিন্দুক বাদেও পুরাতন একটি সিন্দুক (যা এক বছর পর পর খোলা হয়) থেকে মূল্যবান স্বর্ণালঙ্কারসহ টাকা (১২ লাখেরও বেশি) নিয়ে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে, ঠিক কত টাকা নেয়া হয়েছে তা হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না। ওই সিন্দুকগুলো বছরে একবার খোলা হয় এবং এতে টাকা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার রাখা হয়। অন্যান্য কয়েকটি সিন্দুকে শুধু টাকা রাখা হয় এবং ১৫-২০ দিন পরপর খোলা হয়।
Advertisement
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের স্পর্শকাতর এলাকায় কীভাবে চুরি সংঘটিত হয়েছে তা অনুসন্ধানে মসজিদের ভেতরে গোয়েন্দারা কাজ করছেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. সাইফুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, গতকাল রাতে চুরির ঘটনায় মসজিদ ও মাজার কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি সৈয়দ মো. দস্তগীর হোসেন মসজিদ ও মাজার কমিটির সঙ্গে বসেছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, মাজার ও সমজিদের সিন্দুক ভেঙে চুরির বিষয়টি গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন। তবে এ বিষয়ে দায়িত্বরত আছেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলাম।
অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. নজরুল ইসলামের কাছে মাজার-মসজিদে চুরির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি এখন ছুটিতে আছি, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
Advertisement
এআর/এফএইচ/বিএ/আরআইপি