বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, অন্য দেশের নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে আমাদের সেনাবাহিনী নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করেছে এবং আমরা সম্মানিত বোধ করি। দেশের জাতীয় নির্বাচনেও সেনাবাহিনী দায়িত্ব সেভাবেই পালন করবে।
Advertisement
রোববার বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বলে আসছি এখন গোটা সময়টা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আইন তাই বলে। কাজেই এখন যারাই বাড়াবাড়ি করবে তার দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তায়। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার স্বার্থে ও সুনামের স্বার্থে যারাই বাড়াবাড়ি করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তারা দায়-দায়িত্ব না নিলে প্রশ্নবিদ্ধ হবেন এবং পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।
কাল সকাল থেকে সেনাবাহিনী নামছে, সেক্ষেত্রে আস্থা ফিরবে কি না? জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের জাতীয় মর্যাদার প্রতীক। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান সেনাকর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯১৭১ সালে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সেনাবাহিনী বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বের বহু দেশে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য হিসেবে কাজ করে। বহু দেশের নির্বাচনে সহযোগিতা করে সুনাম অর্জন করেছে। আমরা তাদের এই সুনামে গর্ববোধ করি।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষায় ও নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছেন। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের নিজের দেশে যে নির্বাচন সেই নির্বাচনেও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং দেশের ভাবমূর্তি-মর্যাদা রক্ষা করবেন।
জামায়াতের প্রার্থীদের বৈধতা প্রশ্নে আজ ইসিতে বৈঠক হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জামায়াত নির্বাচন করছে ও তাদের কোনো প্রার্থী আছে এমন কথা তো কখনো আমরা বলিনি। বিএনপির মনোনীতরাই ধানের শীষে নির্বাচন করছে। সুতরাং যারা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় অভিযোগ করেছে তারা ভুল করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচন কমিশন এতো বড় ভুল করবে না। অতএব এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
জেইউ/বিএ/আরআইপি
Advertisement