মাইগ্রেনের অসহ্য যন্ত্রণা সম্পর্কে ভূক্তভোগী মাত্রই অবগত। আমাদের প্রতিদিনের অনেক অভ্যাসের উপর নির্ভর করে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়বে কি না। প্রতিদিনের বেশ কিছু অভ্যাস ত্যাগ করলে কিন্তু অনেকটা দূরে রাখা যায় এই যন্ত্রণাদায়ক অসুখকে। হতে পারে নিজেরই কোনো ভুলে ডেকে আনছেন মাইগ্রেনকে। চিকিৎসকদের মতে কিছু কাজ রয়েছে যা মাইগ্রেনের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী-
Advertisement
একটানা অনেক ক্ষণ কাজ করা, নির্দিষ্ট সময় ও নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া না করা, সারাক্ষণ ডেডলাইনের চাপ এগুলো ভয়ংকর প্রভাব ফেলে মনে। এই মানসিক চাপ বাড়তে থাকলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়া খুব স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: দীর্ঘসময় বসে কাজ করেন? হাড়ের সমস্যা দূর করবেন যেভাবে
খুব রোদ বা খুব বৃষ্টি- দুটোই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। খুব গরম বা খুব আর্দ্র পরিবেশে খুব একটা ঘোরাঘুরি করবেন না।
Advertisement
দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকের জুড়ি নেই। কাজেই গ্যাস্ট্রিক এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত।
অনিয়মিত ঘুম মাইগ্রেনের জন্য দায়ী হতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের চেষ্টা করুন। একদিন কম ঘুমালেন, আরেকদিন বেশি ঘুমালেন এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত চিনি বা অ্যাডেড সুগার দেওয়া আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। মিষ্টি জাতীয় কিছু খান, তবে পরিমিত।
মাইগ্রেনের রোগীদের ক্যাফিনের উপস্থিতি হঠাৎ করে বন্ধ করে দিলে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। তাই কফি ছাড়তে হলে ধীরে ধীরে ছাড়ুন।
Advertisement
আরও পড়ুন: যেসব খাবার আপনার বয়স কমিয়ে দেবে!
অতিরিক্ত আওয়াজ, একনাগাড়ে জোরে আওয়াজ, গাড়ির একটানা হর্ন এসব থেকে দূরে থাকুন। এতে স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে ও তা মাইগ্রেনের সমস্যাকে ডেকে আনে। শব্দের প্রকোপ থেকে কান বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
এইচএন/পিআর