আন্তর্জাতিক

ভারতীয় কূটনীতিকদের পাত্তা দিচ্ছে না পাকিস্তান

প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রতিবেশী দেশ ভারতকে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান। ভারতীয় শিখদের জন্য কর্তারপুর করিডর খুলে দেন তিনি। তবে ভারতীয় মিডিয়ায় অভিযোগ আনা হয়েছে, ইসলামাবাদে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছে প্রশাসন। অভিযোগ, ভারতীয় অফিসারদের বাড়িতে দেরি করে আসছে গ্যাস। কেটে দেয়া হচ্ছে ইন্টারনেট কানেকশন। ভারতীয়দের চূড়ান্ত হেনস্তার চেষ্টা করছে ইমরানের প্রশাসন।

Advertisement

এমন অভিযোগ পাওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি প্রশাসন। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো আভাষ দিয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো রাখতে ১৯৬১ সালে ভিয়েনা সম্মেলনে দুই দেশে কূটনীতিবিদ রাখার চুক্তি হয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে গত বছরও ভারত সেই চুক্তিতে সায় দিয়েছে। তবে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দারা বারবার পাক বন্দিদের খবরের জন্য চাপ দিচ্ছেন ভারতীয় অফিসারদের। বেড়েছে নজরদারিও। প্রতি মুহূর্তে ভারতীয় অফিসারদের গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়। গতমাস থেকে ভারতীয় অফিসারদের বাড়িতে উটকো লোকজন আসার সংখ্যাও বেড়ে গেছে। এতে বেশ বিরক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা।

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসার পর ভারতীয় কূটনীতিবিদদের ওপর এই ধরনের হেনস্থা ক্রমশ বাড়তে শুরু করার খবর আগেও সামনে এসেছিল। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সোহেল মহম্মদ হজরত নিজামুদ্দিন আওলিয়া দরগায় গিয়ে চাদর চড়ান। কিন্তু ইসলামাবাদে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দুদেশের সম্পর্কে যে আরও অবনতি হবে, তা এখন থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছে।

Advertisement

কাশ্মির নিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশ্ন তুলেছে পাকিস্তান। দুদেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আবেদনও জানিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু পাক দাবি উড়িয়ে ভারত জানিয়েছে, সীমান্তে সন্ত্রাস ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন বন্ধ না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে একই মঞ্চে আলোচনায় বসবে না ভারত।

ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসার পর ভারতকে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন। ভারতের শিখ পুন্যার্থীদের জন্য কর্তারপুরে উৎসবের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও পাঞ্জাবের কংগ্রেস মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধুকে। সেখানে গিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরেন সিধু। তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। কাশ্মিরে যখন পরপর সেনারা নিহত হচ্ছেন, প্রশ্ন ওঠে তখন কীভাবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরেন তিনি!

এবার ইমরান খানের সরকার যেভাবে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের হেনস্তা শুরু করেছে, তাতে দুই দেশের অশান্তি আরও বাড়ল বৈকি।

এসআর/এমএস

Advertisement