রাজনীতি

বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দিলেন আ.লীগে

ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি রউফ-উন নবী সহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

Advertisement

শনিবার রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তুলাগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তারা আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি রউফ-উন নবী ছাড়াও আওয়ামী লীগে যোগদানকারী বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, কোতয়ালী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব আলী কুটু, কৈজুরী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আউয়াল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ছোরাফ হাওলাদার, কোতয়ালী বিএনপির সদস্য রাজ্জাক মিয়া, ইউনুছ খান, কালাম শেখ, মামুন বাবু, লিয়াকত হোসেন, সিরাজ সিকদার, আক্কাস প্রামানিক প্রমুখ।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন যোগদানকারীদের উদ্দেশে বলেন, কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি রউফ-উন নবী’র নেতৃত্বে আজ বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন, তারা আমাদের ভাই। তারা যেন মনে কোনোরকম কষ্ট না পায়, সেটা আমাদের দেখতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, তাদের সমমর্যাদা দিয়ে রাখতে হবে। কোনোরকম বৈষম্য করা যাবে না। তাদের যোগদানে আমাদের শক্তি অনেক বেড়ে গেল। তারা এতদিন বাইরে ছিল, এখন আমাদের সাথে এক হয়ে গেল।

মন্ত্রী আরও বলেন, রউফ উন নবীর পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। কিন্তু কোনোরকম বিরূপ সম্পর্ক আমাদের মধ্যে ছিল না। আজকে তার যোগদানের মাধ্যমে আমাদের মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাও দূর হয়ে গেল। আমরা এখন ভাই ভাইয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কৈজুরীর উন্নতীতে একসঙ্গে কাজ করব।

আওয়ামী লীগে যোগদানকারী কোতয়ালী বিএনপির সভাপতি রউফ-উন নবী জনসভায় তার বক্তব্যে বলেন, আমি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। বিএনপি দীর্ঘদিন ফরিদপুরে ক্ষমতায় থাকলেও ফরিদপুরের কোনও উন্নয়ন হয় নাই। আওয়ামী লীগের বিগত ১০ বছরে ফরিদপুরের যে উন্নয়ন হয়েছে তা আমার মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুরের প্রতিটা কোনায় কোনায় উন্নয়ন করেছেন। তার মতো পরশ পাথরের ছোঁয়ায় ফরিদপুর আজ দেশের মধ্যে উন্নয়নের রোলমডেল।

তিনি বলেন, মোশাররফ ভাই ও আমি একই গ্রামের সন্তান। তিনি আমার প্রতিবেশী। মোশাররফ ভাইয়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আজ আওয়ামী লীগে যোগদান করলাম। এ সময় রউফ-উন নবী ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

Advertisement

বি কে সিকদার সজল/জেডএ