আইন-আদালত

প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন খালেদা

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিন আসনের প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

Advertisement

তবে কবে নাগাদ আবেদন করা হবে তা নিশ্চিত করেননি তার আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক তিনটি আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান।

তফসিল অনুযায়ী আর মাত্র সাত দিন বাকি নির্বাচনের। এখন সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ চলছে। জরুরি বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য অবকাশকালীন বেঞ্চ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর অবকাশকালীন চেম্বারজজ আদালত বসবে।

খালেদার আইনজীবী বলেন, এর আগে প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টে করা পৃথক তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক তিনটি আবেদনের প্রস্তুতি চলছে। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনগুলো দায়ের করা হবে।

Advertisement

আবেদনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত চাওয়া হবে। পাশাপাশি তিন আসনে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ দিতে নির্দেশনাও চাওয়া হবে।

ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭—এই তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা পৃথক রিট আবেদনের ওপর ১১ ডিসেম্বর বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রুল দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত স্থগিতের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার অনুমতি দিতে নির্দেশ দেন। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন। পরে প্রধান বিচারপতি ১২ ডিসেম্বর বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চে পাঠান। এটি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে পরিচিত। এই বেঞ্চ ১৮ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি রিট সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন। এর ফলে খালেদা জিয়ার তিনটি রিট খারিজের সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত হয়।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকা খালেদা জিয়া ওই তিনটি আসনে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে যাচাই-বাছাই শেষে তিন আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তার পক্ষ থেকে ইসিতে আপিল করা হয়। ৮ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আপিল নামঞ্জুর করে ইসি। প্রার্থিতা বাতিলের পক্ষে রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) তিন কমিশনার। আর খালেদার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেয়ার পক্ষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ভোট দেন। ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ৯ ডিসেম্বর পৃথক তিনটি রিট করেন খালেদা জিয়া।

Advertisement

উল্লেখ্য, দুর্নীতির পৃথক দুই মামলায় মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম