আল্লাহ তাআলা অসুস্থ ব্যক্তি ও মুসাফিরের জন্য ইবাদত-বন্দেগি সহজ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আল্লাহ তাআলা অসুস্থ ব্যক্তি ও মুসাফিরের যে কোনো বৈধ দোয়া কবুল করে নেন।
Advertisement
যে সব ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে যায় কিংবা সফর অবস্থায় থাকে তাদের আমল লেখা হবে সেভাবে, যেভাবে তারা সুস্থ ও মুকিম থাকা অবস্থায় ইবাদত-বন্দেগির সাওয়াব লাভ করতো।
অসুস্থতার কারণে কিংবা সফরের কারণে যদি কেউ সুস্থ থাকা কিংবা বাড়িতে থাকার মতো আমল করতে নাও পারে তারপরও তাদেরকে সাওয়াব দান করা হবে এবং অসুস্থ ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেবেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু মুসা আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন বান্দা অসুস্থ হয় অথবা সফর করে তখণ তার সুস্থ ও বাড়িতে থাকা অবস্থায় যে সব আমল করত অনুরূপ তার সাওয়াব লেখা হবে।’ (বুখারি)
Advertisement
আরও পড়ুন > রিজিক বৃদ্ধির কুরআনি আমল
এ কারণেই অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে মর্যাদা দেয়ার কথা বলা হয়েছে হাদিসে পাকে। কেননা সুস্থ থাকাকালীন সময়ে বান্দা কি কাজ করেছে সে হিসাব নেবেন আল্লাহ তাআলা।
যারা সুস্থতার সময় ইবাদত-বন্দেগি করবে, অসুস্থ হয়ে গেলেও আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সুস্থ থাকা অবস্থায় করা আমলের ন্যায় সাওয়াব দান করবেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বাড়ি অবস্থানকালীন সময়ে সুস্থতার সময় যথাযথভাবে নামাজসহ ইসলামের বিধিবিধান পালনের তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/আরআইপি