বিশিষ্ট নির্মাতা-অভিনেতা আমজাদ হোসেনকে তারূণ্যের অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রখ্যাত নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক মামুনুর রশীদ।
Advertisement
তিনি বলেন, আমজাদ হোসেনের জীবনের শেষ সময়ও অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করেছেন। এটা তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা।
শনিবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সহকর্মী আমজাদ হোসেনকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে একথা বলেন তিনি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মামুনুর রশীদ বলেন, পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে কর্মজীবন শুরু করেন আমজাদ হোসেন। প্রায় ছয় দশকের এই শিল্প জীবনের সম্পূর্ণ ভাগই তিনি সততার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি বিরল প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। এমন একজন শিল্পী ছিলেন, যে কাজ ধরতেন, সেটার পেছনে লেগে থাকতেন। তার মৃত্যুতে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়।
Advertisement
এ সময় সেখানে উপস্থিত ফকির আলমগীর জাগো নিউজকে বলেন, তার কাজ ও লেখনী জাতীয় সম্পদ, তাকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। বাংলাদেশে তার ক্ষতি অপূরণীয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭৬ বছর বয়সী বরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেয়া হয়েছিল তাকে।
প্রায় ৬৫ লাখ টাকা খরচের কারণে মরদেহ দেশে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিল আমজাদ হোসেনের পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আমজাদ হোসেনের মরদেহ নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান তার ছোট ছেলে সোহেল আরমান।
আজ (শনিবার) সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খ্যাতিমান এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। সেখান থেকে দুপুরে তার মরদেহ যথাক্রমে এটিএন বাংলা, বিএফডিসি ও চ্যানেল আইয়ে নেয়া হবে। এরপর দাফনের জন্য তার মরদেহ জামালপুর নেয়া হবে। মরহুমের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে।
Advertisement
এ আর/এমএমজেড/এমএস