খেলাধুলা

আমিরের বিধ্বংসী বোলিং, বাবর-আজহার-ইমামের ব্যাটিং

বক্সিং ডেতে শুরু হবে তিন ম্যাচের জমজমাট টেস্ট সিরিজ। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নিজেদের বেশ ভালোভাবেই ঝালিয়ে নিয়েছে পাকিস্তানি বোলার এবং ব্যাটসম্যানরা। বিশেষভাবে বললে, পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির এবং ব্যাটসম্যান বাবর আজম, আজহার আলি, ইমাম-উল হক ও হারিস সোহেল

Advertisement

এই তিন-চার ক্রিকেটারের দারুণ নৈপুন্যে প্রস্তুতি ম্যাচে জয় দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শুরু করেছে পাকিস্তান। বেনোনির উইলোমোর পার্ক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিনদিনের এই প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশকে পাকিস্তান হারিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে।

শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৯৫ রান। ইমাম-উল হক এবং হারিস সোহেলের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেই রান সময়মতই সংগ্রহ করে ফেলে পাকিস্তান। ফলে ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে সরফরাজ আহমেদের দল।

ওপেনার ইমাম-উল হক করেন ৬৬ রান। হারিস সোহেল ৮৭ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ইমাম-উল হকের সঙ্গে আউট হয়েছেন শান মাসুদ, ফাখর জামান এবং ফাহিম আশরাফ।

Advertisement

তার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মোহাম্মদ আমিরের বিধ্বংসী বোলিংয়ের মুখোমুখি হয়। মাত্র ১২ ওভার বোলিং করে ৩ উইকেট নেন তিনি। প্রোটিয়া ওপেনার নেইল ব্র্যান্ড ৭১ রান করলেও আমিরের বলে ক্যাচ দেন আসাদ শফিকের হাতে।

আরেক ওপেনার জসুয়া রিচার্ড বোল্ড হন আমিরের বলে, মাত্র ৮ রান করে। এছাড়া টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটসম্যান ম্যাথ্যু ব্রিটজকে মাত্র ১ রানে ফিরিয়ে দেন আমির। তিনি ক্যাচ দেন ফাহিম আশরাফের হাতে। অফ ফর্মের কারণে এর আগে এশিয়া কাপসহ কয়েকটা সিরিজে দলে সুযোগ পাননি আমির। এবার সে ঝালই যেন ঝেড়ে নিচ্ছেন তিনি।

এর আগে প্রথম ইনিংসে অবশ্য নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। বোলিং করেছিলেন ১৩.৩ ওভার। দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক মার্কাস অ্যাকারম্যানের সেঞ্চুরি এবং জসুয়া রিচার্ডের ৯৮ রানের সুবাধে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।

জবাব দিতে নেমে সেঞ্চুরি করেন আজহার আলি এবং বাবর আজম। ১০০ রান করেই মাঠের বাইরে চলে যান আজহার আলি। ১০৪ রানে অপরাজিত থাকেন বাবর আজম। এ দুই জনের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করে পাকিস্তান ইনিংস ঘোষণা করে।

Advertisement

দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করলে পাকিস্তান জয়ের জন্য ১৯৫ রানের লক্ষ্য পায়। ইমাম-উল হক আর হারিস সোহেলের ব্যাটে ৪০.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।

২৬ ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়নে শুরু হবে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি।

আইএইচএস/এমএস