মিরপুর শেরে বাংলাকে মনে করা হয় বাংলাদেশের ‘লাকি গ্রাউন্ড’। টাইগারদের বড় বড় অনেক সাফল্যের সাক্ষী হয়ে আছে এই স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং কোচ সুনিল জোশিও বিশ্বাস করেন এটা। তার আশা, এই লাকি গ্রাউন্ডে শেষ টি-টোয়েন্টিটা জিতে এবারও সিরিজ নিজেদের করে নিতে পারবে বাংলাদেশ।
Advertisement
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হেসেখেলে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মনে হচ্ছিল, টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও এই ফরমেটের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছে পাত্তা পাবে না টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। ব্যাটে-বলে সব বিভাগেই ক্যারিবীয়দের কোণঠাসা করে সহজ জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
হারের পর দলের মনোবলে ধাক্কা লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যেভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, সেটা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য বলেই মনে করছেন স্পিন বোলিং কোচ সুনিল জোশি। সিরিজ জয় কি সম্ভব? জোশি উত্তরটা একটু ঘুরিয়ে দিলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা খুবই ভালো খেলেছি। আমাদের অ্যাপ্রোচ একদমই আলাদা ছিল। সিলেটে যেমন ছিল, মিরপুরে অন্যরকম। দারুণ ছিল সবকিছু। অবশ্যই ওই জয়ের পর দল খুব খুশি। আমরা সেই ঘরে ফিরেছি, যেখানে আমরা সবসময়ই জিতি।’
মিরপুরকে বাংলাদেশের লাকি ভেন্যুই মনে করেন জোসি। টাইগার স্পিন কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের টাইগারদের জন্য মিরপুর খুবই লাকি ভেন্যু। আমি এটা বলছি, কারণ এখানে বাংলাদেশ প্রচুর ম্যাচ জিতেছে। আর এখানকার দর্শকও অনেক অনুপ্রেরণা দেয়। আমি বলছি না, সিলেটের দর্শকরা সেটা করে না। তারাও খুব ভালো। তবে ঘরের মাঠের সুবিধাটা আমরা মিরপুরেই পাই। কারণ টাইগাররা এখানে সারা বছর খেলে, গত ১৮ বছর ধরেই খেলছে। তাই মিরপুর আমাদের জন্য লাকি গ্রাউন্ড।’
Advertisement
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তার পেছনে আসল অবদানটা আসলে সাকিব আল হাসানের। অসুস্থ শরীর নিয়েই ব্যাটে-বলে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সাকিবকে নিয়ে আসলে নতুন কিছু বলতে চাইলেন না জোশি।
টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের জন্য তার কণ্ঠে শুধু প্রশংসাই, ‘সাকিব দুর্দান্ত একজন খেলোয়াড়। আমরা সবাই জানি সে কতটা প্রতিভাবান। শুধু বাংলাদেশেই নয়। আপনি সব ফরমেট দেখেন, টেস্ট-ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। আমার মনে হয়, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার ওভার বল করে ২০ রানে ৫ উইকেট নেয়ার পর স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে আপনার আর কিছু বলার থাকে না।’
দ্বিতীয় ম্যাচে বিজয়ী দলই কি দেখা যাবে কালও? নাকি কম্বিনেশনে পরিবর্তন আসবে? জোশি মনে করছেন, একাদশে পরিবর্তন না আসলেই ভালো হবে। তার ভাষায়, ‘উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখা সবসময়ই ভালো। তবে ভালো খেলোয়াড়দের অবশ্যই সুযোগ আসবে। দলের বাকি তিন সদস্যও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য যথেষ্ট ভালো। তবে আপনি তো ১১ জনই খেলাতে পারবেন। কম্বিনেশনটা দল নির্ধারণ করবে। আশা করছি, একই দল খেলবে।’
এমএমআর/এমকেএইচ
Advertisement