রাজনীতি

মাথা ঠিক করেন, ঠান্ডা করেন : সরকারকে ড. কামাল

বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন ও হামলার বিষয়ে সরকারকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মাথা ঠিক করেন, মাথা সুস্থ করেন, মাথা ঠান্ডা করেন।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল বলেন, রাষ্ট্র ও সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণকে ভোটাধিকার থেকে সরিয়ে দেয়া মানে স্বাধীনতার উপর আঘাত করা। আপনারা এসব হামলা-মামলা বন্ধ করুন।

‘এই নির্বাচনের আগে যে চিত্র দেখতে পাচ্ছি না, তা গত ৩০-৪০ বছরে কখনও দেখিনি। পুলিশ এবং দলীয় কর্মীদের রাস্তায় নামিয়ে পেশিশক্তির ব্যবহার করে জনগণের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে সরকার। আমি ধরেই নিয়েছিলাম নির্বাচনের আগে কিছু তো হবেই, তবে এই অবস্থা দেখতে হবে তা কখনও ভাবিনি। অবিলম্বে এগুলো বন্ধ করা হোক। এই সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই বন্ধ করা হোক’,- বলেন তিনি।

Advertisement

গণফোরামের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের যত স্বৈরাচারী সরকার ছিল সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে এই সরকার। আজ থেকে আমি ফলো করবো, সরকার তার এই আচরণ থেকে সরে আসে কি না। দেশের জনগণ যদি দেখে সরকার ভোটবাক্স দখল করে নির্বাচনে জয়লাভ করেছে, তারা কখনও এই সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না।

পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, পুলিশের কর্মকাণ্ডে আমি অবাক হয়েছি। সংবিধান লেখার সময় পুলিশের ভূমিকা লেখা হয়েছিল ‘নিরপেক্ষ’। পুলিশ কোনও দলের কিংবা রাষ্ট্রের হবে না। তবে এখনকার পুলিশ কাউকে বিরোধীদলীয় মনে করলেই ধরে ফেলে, অর্থাৎ সংবিধানে যে নিরপেক্ষ শব্দটি লেখা আছে, তার ষোল আনা পরিপন্থী কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে অজানা কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর আরেক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, দেশব্যাপী গ্রেফতারের মহোৎসব চলছে। ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত দিনে বিএনপির ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। এখনও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিদিনই তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের কথা বলা হচ্ছে।

এআর/জেডএ/এমকেএইচ

Advertisement