ম্যাচে ফল বের হওয়ার কোনো উপায়ই ছিল না। প্রথম দিন পুরোটাই গেছে বৃষ্টির পেটে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে দিনের পুরো ওভার খেলা সম্ভব হয়নি পরের দিনগুলোতেও। তবে বগুড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) নিশ্চিত ড্রয়ের পথে এগোনো সাউথ জোন আর ইস্ট জোনের ম্যাচটি শেষ দিনে এসে বেশ রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল।
Advertisement
প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ২৬২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দিয়েছিল ইস্ট জোন। জবাবে পিছিয়ে থেকেও ৮ উইকেটে ১৭৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় সাউথ জোন।
এগিয়ে থাকা ইস্ট জোন দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলা শুরু করে। ৭.২৮ রানরেটে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে তারা। মোহাম্মদ আশরাফুল খেলেন ৩৫ বলে ৫৪ রানের ঝড়ো ইনিংস। এছাড়া ৩৯ বলে ৫৮ করেন ওপেনার রনি তালুকদার।
চতুর্থ ইনিংসে সাউথ জোনের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ২৪৭ রানের। হাতে ছিল ৪০ ওভারের মতো। টেস্ট ক্রিকেটে এমন পরিস্থিতি থেকে জেতা প্রায় অসম্ভব। তারপরও দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে চালিয়ে খেলেছে সাউথ জোন। তাতেই ম্যাচে রোমাঞ্চের পরশ পাওয়া যায়।
Advertisement
চালিয়ে খেলতে গিয়ে ৬৯ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সাউথ জোন। নিশ্চিত ড্রয়ের পথে যাওয়া ম্যাচটি তখন জেতার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল ইস্ট জোনের। তবে তাদের সেই স্বপ্ন সত্যি হতে দেননি নুরুল হাসান সোহান আর মেহেদী হাসান।
পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ৬৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ফলে ড্র মেনে নিতে বাধ্য হয় ইস্ট জোন। সোহান ২৩ আর মেহেদী ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ইস্ট জোনের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ফরহাদ রেজা আর আবু জায়েদ রাহি। একটি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।
এদিকে, রাজশাহীতে নর্থ জোন আর সাউথ জোনের ম্যাচটি ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রই হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে অলআউট হয়েছিল নর্থ জোন। জবাবে ২৯৪ রানে গুটিয়ে যায় সাউথ জোন। দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৪৭ আর ফরহাদ হোসেনের হার না মানা ৩৩ রানে ৩ উইকেটে ১১৩ রান তুলে নর্থ জোন। এরপরই দুই পক্ষ ড্র মেনে নেয়।
এমএমআর/পিআর
Advertisement