মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ফয়েজ আহমেদকে অপহরণের ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের মূল হোতার স্ত্রীসহ সাতজনকে আটক করেছে র্যাব-১১। নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। এ সময় মুক্তিপণের ২৮ লাখ টাকার মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর র্যাব-১১ এর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান।আটকরা হলেন, অপহরণের মূল হোতা লোকমানের স্ত্রী শাকিলা আক্তার (৩০), জনির মা মাহমুদা পারভীন (৫০), লোকমানের বোন আলেয়া বেগম (৪৫), লোকমানের ভগ্নিপতি আবুল কালাম আজাদ (৫২), লোকমারে ভাগ্নে আল-আমিন আসিক (২৬), আব্দুল্লাহ (৩৬) ও আওলাদ হোসেন (৩০)।র্যাব-১১ এর সিও জানান, গত ২৩ জুলাই ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার ব্যবসায়ী ফয়েজ আহম্মেদ (৬৬) ব্যবসায়িক কাজে মালয়েশিয়া যান। ওই দিন সকালেই অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন অপহরণকারী ফয়েজ আহম্মেদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর অপহরণকারীরা বাংলাদেশে ফয়েজ আহমেদের পরিবারের কাছে তার মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা দাবি করে।পরে ফয়েজ আহমেদের পরিবার বাধ্য হয়ে অপহরণকারীদের কথা মতো আত্মীয়-স্বজদের কাছে কয়েকবারে ২৮ লাখ টাকা নগদ ও বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে। এরপর ফয়েজ আহমেদ অপহরণকারীদের কবল থেকে ছাড়া পেয়ে গত ১৯ আগস্ট বাংলাদেশে ফেরত আসে।তিনি আরো জানান, অপহৃতের পরিবার ১৬ আগস্ট র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দায়ের করে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মুন্সীগঞ্জ থেকে অপহরণকারীদের আত্মীয়-স্বজনদের গ্রেফতার এবং তাদের ব্যাংক একাউন্ট থেকে ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৪ টাকা উদ্ধার করে।গ্রেফতারকৃত শাকিলার কাছ থেকে র্যাব সদস্যরা ছয়টি পাসপোর্ট ও কিছু সার্টিফিকেট উদ্ধার করে। এর মধ্যে দুইটি পাসপোর্ট লোকমানের, একটি শাকিলার ও তিনটি অন্য ব্যক্তিদের। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৯টি মোবাইল সেট, ১১টি সিম কার্ড, ক্রেডিড কার্ড ও ব্যাংকের চেক বইসহ অন্যান্য কাগজপত্র উদ্ধার করে র্যাব।তিনি আরোপ জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মুক্তিপণের বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।হোসেন চিশতী সিপলু/এআরএ/এমএস
Advertisement