নিঃসন্দেহে অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেরা পারফর্মার সাকিব আল হাসান। খানিক ঝুঁকি নিয়ে দেশের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়ের তকমাটাও সেঁটে দেয়া যায় তার নামের পাশে। অন্তত তার পরিসংখ্যান বা অর্জন সে কথারই সাক্ষী দেবে।
Advertisement
তবু খেলার মাঠের বাইরে বিতর্ক যেনো পিছু ছাড়ে না বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারের। মাঠের পারফরম্যান্স বা অর্জন দিয়ে অনেকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন সাকিব। খুব কম হননি মাঠ কিংবা মাঠের বাইরের নেতিবাচক কর্মকান্ডের কারণেও।
পরিস্থিতি এখন অনেকটাই এমন হয়েছে যে নেতিবাচক কিছু ঘটলে বা তার কথার কোনো ব্যাখ্যা নেতিবাচকভাবে ছড়ানো হলেও খুব একটা অবাক হন না বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
ঠিক যেমন সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেছিলেন, ‘অন্য ব্যাটসম্যানদের জিজ্ঞেস করা উচিত, কেন তারা ভালো ব্যাট করেনি। সবার হয়ে উত্তর আমি দিতে পারি না।’- এ কথারও ছড়িয়েছে নানান রকম ব্যাখ্যা।
Advertisement
যা এতোটাই প্রকট রূপ নিয়েছে যে বৃহস্পতিবার রাতে দ্বিতীয় ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেও চলে আসে সে কথার প্রসঙ্গ। জানতে চাওয়া পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অমন কথা বলে যাওয়ার পর দলের প্রতি সাকিবের বার্তা কি ছিলো?
সাকিবের সোজা সাপটা উত্তর, ‘কোন বার্তাই ছিল না। কারো সঙ্গে কথা হয়নি।’ তখনই উঠে আসে সে ম্যাচ শেষে বলা কথার প্রসঙ্গ। সে ঘটনার ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, ‘যেটা হয়েছে, আমি তখন ব্যাটসম্যানদের দোষ দিয়ে আসিনি। উনাকে স্রেফ বলেছি। এটা কোন নেগেটিভ উদ্দেশ্য ছিলো না। মূলত ফান করে বলেছি।’
এসময় সংবাদমাধ্যমের প্রতি নিজের চাপা ক্ষোভটাও যেনো জানিয়ে দেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘পুরো উত্তরটা তো আপনারা লিখবেন না বা বলবেন না। জাস্ট ওই যেটুকু কথা নিউজের জন্য দরকার সেটুকুই। ওই নেগেটিভ নিউজটা যেভাবে আসে আর কি। কারণ আমার নেগেটিভ নিউজ মানুষ বেশ ভালো খায় (হাসি)।’
এটুকু বলে সাকিব নিজেই আবার জানান এখন আর নেগেটিভ খবর ছড়ালেও বিচলিত বা অবাক হন না। বরং তার মনে হয় যে মানুষ যখন নেগেটিভ কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তখনই তিনি আরও ভালো খেলতে অনুপ্রাণিত হন।
Advertisement
সাকিবের ভাষ্যে, ‘এখন এটা আমিও পছন্দ করি। কারণ আমি মনে করি এটা (নেগেটিভ নিউজ) আমাকে ভাল করার জন্য একটু হলেও প্রেরণা যোগায়। আল্লাহর রহমত যে আজকেও অমন পেরেছি। যখনই এরকম পরিস্থিতি আসে তখনই আল্লাহ এমন কিছু দিয়ে দেয় আমাকে।’
এসএএস/এমএস