চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা ভোগ করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানব সম্পদের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) মতিঝিল ঢাকা চেম্বারে ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লব : বাংলাদেশের সুযোগ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা জানানো হয়। ডিসিসিআই এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলুশন (বিডিফোরআইআর) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সর্বোপরি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে। দেশকে এ বিপ্লবের সুবিধা আদয়ে এখনই প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে তরুণ প্রজন্মকে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রণোদনা প্রদানের জন্য সরকারের আহ্বান জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকোচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাশাপাশি কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে। এটি মোকাবেলায় এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী বলেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে দেশের কর্মক্ষম প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে পুনঃপ্রশিক্ষণ দিতে হবে। একই সঙ্গে আরও দুই কোটি মানুষকে নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করতে হবে। এজন্য তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের উপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিডিফোরআইআরের সহ-সভাপতি সৈয়দ তামজিদ উর রহমান। এ সময় ডিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক ইমরান আহমেদ, মো. আলাউদ্দিন মালিক, এস এম জিল্লুর রহমান, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরীসহ সবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ওসামা তাসীর এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এএইচ/এমকেএইচ
Advertisement