রাজনীতি

চট্টগ্রামে ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রার্থী বললেন ‘পরিবেশ নেই’

নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণার পরিবেশ নেই দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মো. নুরুল আলম ও জাফরুল ইসলাম চৌধুরী।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি করেন।

বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের বিএনপি প্রার্থী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাঁশখালীতে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরুর প্রথম দিন থেকে নেতাকর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে, মামলা দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় লাগানো ব্যানার-পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। এলাকায় নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।’

জাফরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ‘সর্বশেষ বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) সরল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি গ্রুপ এলোপাতাড়ি হামলা করে। এ সময় আমিসহ ৮ থেকে ১০ জন আহত হই। এ ঘটনায় জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পরও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর মামলা দেয়া হচ্ছে।’

Advertisement

এর আগে বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মো. নুরুল আলম বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় ৭০-৮০ শতাংশও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা ৯০ ভাগ। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই রাঙ্গুনিয়ায়। আমার জন্য ন্যূনতম স্পেস নেই। ওয়ারেন্টে ছাড়াই নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ইয়াবা, অস্ত্র দিয়ে চালান দেয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই দিন রাঙ্গুনিয়ার পদুয়ার ৬০ ভাগ এলাকায় গণসংযোগ করেছি। হোসনাবাদে গেলে কিছু ছাত্র-তরুণ বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ধমক দিয়ে গণসংযোগ বন্ধ করার চেষ্টা করে। ৬৫ বছর বয়স আমার। লাঠিসোঁটা নিয়ে তারা এসেছিল। ৪২ বছর রাজনীতি করেছি। পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন করছি। এবারই প্রচারণায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। তবুও মাঠ ছাড়বো না। আমি নির্বাচন করবো।’

প্রসঙ্গত, ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মো. নুরুল আলম যখন প্রেসক্লাবের ভেতরে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন তখন চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ চলচ্চিত্র তারকাদের সঙ্গে বাইরে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।

এমবিআর/এমকেএইচ

Advertisement