মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। এ বৃষ্টিকে আমরা বলি স্বাভাবিক বৃষ্টি। বাতাসে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ নাইট্রিক অ্যাসিড এবং সালফিউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেটা ঝরে পড়াকে বলে অ্যাসিড বৃষ্টি। মাঝে মধ্যে মাছের বৃষ্টির কথাও শোনা যায়। তবে টাকার বৃষ্টির কথা কখনও শুনেছেন। হ্যাঁ, এবার অনেকটা সেরকমই হয়েছে।
Advertisement
হংকংয়ের শাম শুই পো এলাকায় টাকার বৃষ্টির কথা শোনা গেছে। তবে সেটা মেঘ থেকে নয়, একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে।
ভরদুপুর। ব্যস্ততম রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পথচারীরা। বহুতলের ছাদ থেকে উড়ে আসছে লাখ লাখ টাকা! আর সেই টাকা কুড়িয়ে নেয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে রাস্তায়। চমকে দেয়ার মতো এমন ঘটনা ঘটেছে হংকংয়ে। আর এটার নেপথ্যে দেশটির এক ধনকুবের।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২৪ বছর বয়সী ওং চিং-কিট রোববার দুপুরে একটি ল্যাম্বরগিনি স্পোর্টস কারে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে আসেন। তারপর একটি বহুতল ভবনের ছাদে উঠে গিয়ে সেই টাকা তিনি ছড়িয়ে দেন রাস্তায়। জনবহুল রাস্তায় তখন হতভম্ব হয়ে যান পথচারীরা। কেউ কেউ সেই টাকা কুড়িয়েও নিতে শুরু করে দেয়। মোবাইলে এই অদ্ভুত দৃশ্য ধারণ করে রাখতেও দেখা যাচ্ছে কাউকে কাউকে।
Advertisement
তবে এটা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য তাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ। সংবাদমাধ্যম বলছে, এই গ্রেফতারির ঘটনাও লাইভ স্ট্রিম করেন তিনি!
কত টাকা উড়িয়ে ছিলেন ওং চিং-কিট। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা তিনি এভাবে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে অনুমান। কিন্তু কেন এমন করলেন ওই ব্যক্তি?-এ বিষয়ে অবশ্য এখনও সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
পুলিশের ভাষ্য, ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন’-এর কেনাবেচা করেই বিপুল অর্থের মালিক বনে যান ওং চিং-কিট। তিনি বড়লোকদের টাকা লুট করে গরিবদের সাহায্য করতে চান। সেই কারণেই ওই অর্থ বিলিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি।
তবে তিনি যে এতট মহৎ-তা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের ধারণা, ‘পাবলিসিটি’ পাওয়ার জন্য ওং চিং-কিট এ অদ্ভুত পথ বেছে নিয়েছেন। তবে তার উদ্দেশ্য যা-ই হোক না কেন, আপাতত তাকে যে পুলিশের হেফাজতে থাকতে হচ্ছে, এটা কিন্তু সত্য।
Advertisement
এসআর/আরআইপি