যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিজয় দিবস উদযাপন ও ডিসি বইমেলা ২০১৯-এর সূচনানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৬ ডিসেম্বর) আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে মেট্রো ওয়াশিংটন এলাকার আর্লিংটন সেন্টাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
Advertisement
বিজয় র্যালি, জাতীয় সঙ্গীত ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন আবু রুমি, দিনার মনি, ডরথী বোস, মেরিনা রহমান, মিসেস শামীম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম আকাশ ও আমরা বাঙালির সকল ব্যবস্থাপক।
আতিয়া মাহ্জাবিন নিতুর সঞ্চালনায় বইমেলা ২০১৮-এর ওপর আলোকপাত করেন সামিনা আমিন। অনুষ্ঠানে বিগত বইমেলায় আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশন, ইয়ুথ টিমসহ অংশগ্রহণকারী ছেলেমেয়েদের হাতে প্রশংসাপত্র তুলে দেয়া হয়। প্রশংসাপত্র তুলে দেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান, আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্ঠা, ডিসি বইমেলা ২০১৮ ও ডিসি বইমেলা ২০১৯ এর প্রধান উপদেষ্ঠা রোকেয়া হায়দার, আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশনের সভাপতি জীবক কুমার বড়ুয়া, অর্থ ব্যবস্থাপক মো. আমান উল্লাহ, প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক দেওয়ান আরশাদ আলী বিজয় ও প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক মো. মুস্তাফিজুর রহমান।
আমরা বাঙালির শিল্পী জয়ন্তী বড়ুয়া, সুদীপ্তি বড়ুয়া, সুপ্রিয়া বড়ুয়া, মিলি বড়ুয়া ও বনানী চৌধুরীর দেশের গানের মধ্যদিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিগত বইমেলায় বিশেষ অবদানের জন্য বিসিসিডিআই/বাংলা স্কুল/বর্ণমালা শিক্ষাঙ্গনকে বিশেষ স্বীকৃতিস্বরূপ প্রশংসাপত্র প্রদান করা হয়। প্রশংসাপত্র প্রদান করেন আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশনের সভাপতি জীবক কুমার বড়ুয়া।
Advertisement
অনুষ্ঠানে ডিসি বইমেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক মজহারুল হককে প্লাটিনাম স্পন্সরশিপ সম্মাননা স্মারক ও আমরা বাঙালি পদকে ভূষিত করা হয়। পদক তুলে দেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের প্রধান রোকেয়া হায়দার। তিনি তাকে সম্মানসূচক উত্তরীয়ও পরিয়ে দেন। সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশনের সভাপতি জীবক কুমার বড়ুয়া। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মজহারুল হক।
ডিসি বইমেলা ২০১৮-এর গোল্ডেন স্পশরশিপ সম্মাননা স্মারক ও পদক পেয়েছেন বৃহত্তর ওয়াশিংটন ডিসির সফল ব্যবসায়ী দম্পতি পারভিন পাটোয়ারী ও কবির পাটোয়ারী। সিলভার স্পন্সরশিপ সম্মাননা স্মারক প্রধান করা হয় যথাক্রমে প্রখ্যাত দন্ত চিকিৎসক দম্পতি ডা. আজমল খান ও নওশীন আলী, সুফিয়া ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির প্রধান জাকির হোসেন ও রিয়েল্টর তৌফিক মতিনকে।
ব্রোঞ্জ স্পন্সরশিপ সম্মাননা পান যথাক্রমে ড. নজরুল ইসলাম, ঝর্ণা মাহমুদ, ফাহমিদা হোসেন ও আখতার হোসেন, সামসুন চৌধুরী ও আবু রুমী, মোহাম্মদ উল্লাহ আমান, জহিরুদ্দিন বাবর, ডাটা অ্যান্ড টেক এর প্রধান শিরীন আখতার, আজাইল ওয়ান টেক এর প্রধান জাহিদ হুসিন, এএসআরএস এর মো. সালাউদ্দিন ইয়াহিয়া ও ই অ্যান্ড আর সলিউশানের প্রধান কাজী টি ইসলাম।
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মাননা লাভ করেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর ও মো. হারুন রশিদ। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিশেষ অবদানের অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয়। এ ছাড়া বিশেষ সম্মাননা পান ছড়াকার সন্তোষ বড়ুয়া, নুপুর চৌধুরী ও লিজা বড়ুয়া।
Advertisement
সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলা স্কুলের সভাপতি আতিয়া মাহজাবিন নিতু। তাকে সহায়তায় ছিলেন আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর জাহাঙ্গীর। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন সভাপতি জীবক বড়ুয়া, মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, দেওয়ান এরশাদ আলী বিজয়, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আলতাফ, মাহিন সুজন ও তুষার চৌধুরী।
ডিসি বইমেলা ২০১৮-এর সকল ব্যবস্থাপক সহযোগীদের নাম পাঠ করে ধন্যবাদ জানান দস্তগীর জাহাঙ্গীর। বক্তব্য রাখেন গত বারের প্রধান সমন্নয়ক স্থপতি আনোয়ার ইকবাল কচি। তিনি বলেন, শেষ করার ইচ্ছে নেই তবুও বইমেলা ২০১৮-এর সমাপ্তি ঘোষণা করে আগামী বইমেলার শুভযাত্রা শুরু হোক এখান থেকে।
অনুষ্ঠানের শেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আমরা বাঙালি ফাউন্ডেশনের দিনার মনির ও কণ্ঠশিল্পী অনুপ বড়ুয়া। তবলায় সহযোগিতা করেন মীর নাকিবুল ইসলাম এবং মন্দিরায় ছিলেন জয়দত্ত বড়ুয়া। শব্দ ব্যবস্থাপনায় এবারও ছিলেন শিশির।
আগামী ২০১৯ সালের ২৯ জুন মেট্রো ওয়াশিংটনে বইমেলার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেন দস্তগীর জাহাঙ্গীর।
এসআর/আরআইপি