পুলিশকে মারধর করার একটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী সদর আসনের দলটির মনোনীত প্রার্থী খায়রুল কবির খোকনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। অপরদিকে খোকনের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে যেকোনো পাঁচদিন জেলগেটে তাদে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডিবির প্রতি নির্দেশ দেন।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান।
Advertisement
রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, চলতি বছরের ৮ মার্চ মামলার আসামিরা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছিলেন। তারা বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে লাঠি-সোটা, ইট-পাটকেলসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন রকমের স্লোগান প্রদানসহ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিলেন। আসামিদের গ্রেফতার করতে গেলে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মীর সরাফত আলী সফুসহ আরও অনেক আসামি পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করেন। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে মারপিট করতে থাকেন। এতে অনেক পুলিশ সদস্য আহত হন। তাই যেসব শীর্ষস্থানীয় নেতার ইন্ধন ও মদদে একটি গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচিত বৈধ সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য সফুকে সাত দিনের রিমান্ড নেয়া একান্ত প্রয়োজন। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার মূল রহস্য উদঘাটিত হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ নভেম্বর বিশেষ নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী সদর আসনে দলটির প্রার্থী খায়রুল কবির খোকন নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাবুল্লাহর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
জেএ/জেডএ/আরআইপি
Advertisement