খেলাধুলা

‘বুদ্ধির জোর’ খাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ

টেস্ট সিরিজে ধবধোলাই ও ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয়দের হারানোর পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অনেকটাই মুখ থুবরে পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বোলিং কিংবা ব্যাটিং- কোনো দিকেই পাত্তা পায়নি সাকিব আল হাসানের দল।

Advertisement

মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের বিপক্ষেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ৪ ওভারেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিল তিন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান, পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছিল ৪টি উইকেট।

শুরুর এ ধাক্কা সামাল দিয়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান একা লড়াই করলেও পারেননি বাকিরা। যে কারণে নির্ধারিত ২০ ওভারের ঠিক এক ওভার আগেই ১২৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছে দল। পরে সাই হোপ ও কেমো পলদের তান্ডবী ব্যাটিংয়ে ১০.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা।

সে ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের পোস্টমর্টেম করতে গেলে দেখা যায় স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই-ই নিজেদের উইকেট দিয়েছেন তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে। ওশেন থমাস কিংবা শেলডন কটরেলদের দ্রুতগতির বাউন্সারগুলো ঠিকভাবে আত্মস্থ না করেই ব্যাট ঘুরিয়ে বিলিয়ে এসেছেন নিজেদের উইকেট।

Advertisement

অথচ শুরুতে কয়েক ওভার উইকেট পেস ও বাউন্স বুঝে শুরু করতে পারলে মাঝের ওভারগুলোতে দ্রুত রান তুলে নিতে পারতো স্বাগতিকরা। তখন দলের সংগ্রহটাও পৌঁছতো ভালো একটা অবস্থানে।

মিরপুরে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদ সম্মেলনে একই কথা উচ্চারিত হয়েছে দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। তার মতে প্রথম ম্যাচে বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতে পারলে দলের রানটা আরও ভালো হতে পারতো, তখন ম্যাচের চিত্রও বদলে যেত বলেই বিশ্বাস সৌম্যর।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি এই ফরম্যাটে ওরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। আমরাও যে খারাপ করছি তা না। চেষ্টা করছি তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলার। হয়তোবা কোথাও কোনো ভুল ছিল। কিংবা কোন বুদ্ধির ঘাটতি ছিল হয়তো। আমরা বেশি তাড়াহুড়ো করে তাদেরকে চার্জ করতে গিয়েছি।’

‘আমরা যদি বুদ্ধি খাটিয়ে খেলতাম, পেসারদের প্রথম কিছু ওভার যদি আমরা দেখেশুনে পার করতাম, তাহলে শেষের দিকে আমরা রান আরও কভার করতে পারতাম। হয়তো উইকেট ছিল না বিধায়, উইকেট শুরুতে পড়ে যাওয়ায় মাঝখানে একটু ধীরে খেলতে হয়েছে।’- আরও বলেন সৌম্য।

Advertisement

এসময় নিজের কথার ফাঁকে দ্বিতীয় ম্যাচে দলের পরিকল্পনার কথাও যেনো জানিয়ে দিনি। দেখেশুনে খেলে প্রথম পাওয়ারপ্লে’টা কাজে লাগানোর দিকে জোর দিতে চান সৌম্য। যাতে করে হাতে কিছু উইকেট নিয়ে শেষের দিকে মেরে রান করা যায়।

সৌম্য বলেন, ‘পরের ম্যাচে এটাই চেষ্টা করা হবে, যাতে বুদ্ধি খাটিয়ে খেলা যায়। ইনিংসের শুরুর দিকে আমরা যারা আছি, তাঁরা যদি প্রথম পাওয়ারপ্লেটা সুন্দরভাবে খেলতে পারি, উইকেটটা হাতে রাখতে পারি, তাহলে শেষের দিকে রানটাও ভালো হবে।’

এসএএস/এমএস