খেলাধুলা

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগেও প্রেস কনফারেন্সে আসেননি সাকিব

সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের দিন নেটে সাইফউদ্দীনের বলে পায়ে ব্যথা পেয়ে ফিরে গিয়েছিলেন সাজঘরে। আর প্র্যাকটিস করা হয়নি সাকিব আল হাসানের। ম্যাচ শুরুর আগে প্রথা মেনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও আসেনি বাংলাদেশ অধিনায়ক।

Advertisement

সেদিন ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীপর্বে সঞ্চালক শামীম আশরাফ চৌধুরীর সাথে মিনিট দুয়েক কথা বললেও পরে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন সাকিব। তার বদলে কথা বলেছেন স্বল্প পরিসরের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং উপদেষ্টা নেইল ম্যাকেঞ্জি।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে অফিসিয়াল মিডিয়া সেশনেও দেখা মিলল না সাকিবের। অধিনায়কের বদলে কথা বলতে এসেছিলেন বাঁহাতি টপ অর্ডার সৌম্য সরকার।

প্রেস কনফারেন্সের শুরুতেই মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমামের কাছে জানতে চাওয়া হলো, 'অধিনায়কের কি কোনো সমস্যা হয়েছে? তিনি কথা বলতে আসলেন না যে?' বিসিবির হেড অব মিডিয়ার ছোট্ট জবাব, 'না, কোনো সমস্যা হয়নি। সাকিব কথা বলবেন নিশ্চয়ই। এই সিরিজেই হয়তো তার দেখা পাবেন আপনারা। ম্যাচের আগে পরে সব প্রেস কনফারেন্সে অধিনায়কের আসতেই হবে এমন তো বাধাধরা নিয়ম নেই।'

Advertisement

হ্যাঁ, বাধাধরা নিয়ম তো অবশ্যই নেই। তবে কোনো সিরিজে ম্যাচের আগে বেশিরভাগ সময়ই কোচ-অধিনায়ক কথা বলেন। কখনও কখনও সিনিয়র খেলোয়াড়দেরও সামনে পাঠানো হয়।

ওয়ানডে সিরিজে তিন ম্যাচেই এসেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু প্রথম দুই টি-টোয়েন্টির একটিতেও সাকিব আসলেন না, সে কারণেই প্রশ্নটা উঠে। যদিও অধিনায়ক সব ম্যাচের আগে প্রেসের সামনে আসতে বাধ্য নন। 

জ্বর জ্বর ভাব তাই প্র্যাকটিস করেননি সাকিবসাকিব মিডিয়ার সামনে এলেন না। তাকে প্র্যাকটিসেও দেখা গেল না। গণমাধ্যমকর্মীদের তাই কৌতুহল আসাটা স্বাভাবিক। প্রেস কনফারেন্সে তো রাবিদ ইমাম কৌশলে উত্তরটা দিয়েছেন-অধিনায়কদের আসতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবোধকতা নেই।

তবে বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই জাগো নিউজকে জানালেন, সাকিবের একটু জ্বর জ্বর ভাব। গা-টা ম্যাজম্যাজ করছে, তাই মাঠে এসে ড্রেসিংরুমে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে সোজা ফিরে গেছেন টিম হোটেলে।

Advertisement

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম