আন্তর্জাতিক

ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে এই নারীর ছবি, কেন

ইন্টারনেটে তার ছবিই সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ দেখেছেন। ডাউনলোড করেছেন আরও বেশি সংখ্যক মানুষ। আর সেই কারণেই গিনেস বুকে নামও তুলে ফেলেছেন তিনি। তিনি আর কেউ নন-আমেরিকান মডেল ড্যান্নি অ্যাশে। কে এই ড্যান্নি অ্যাশে, আর কীভাবেই বা জনপ্রিয়তার শিখরে উঠলেন সেসব তথ্যেই চোখ রাখা যাক।

Advertisement

১৯৬৮ সালের ১৬ জানুয়ারি আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনার বিউফোর্টে জন্মগ্রহণ করেন ড্যান্নি অ্যাশে। স্কুলের গণ্ডি পার করতে না করতেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ড্যান্নি। ১৭ বছর বয়সে ডান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এই মডেল। আর তার পরেই ন্যুড মডেল হিসেবে র‌্যাম্প মাতিয়ে দেয়া শুরু করে দিয়েছিলেন ড্যান্নি। তবে শুধু র‌্যাম্প নয়। কখনও ফোটোগ্রাফারদের একমাত্র ন্যুড মডেল, কখনও আবার চিত্রশিল্পীদের ক্যানভাসের সামনে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সেরার সেরা মডেলদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন অ্যাশে।

কখনও কোনো সিনেমায় ছোট রোল, কখনও ডেলি সোপে অভিনয়, কখনও আবার পর্ন ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করে গিয়েছেন ড্যান্নি। তার হাত ধরেই ইন্টারনেটের সাহায্যে আমেরিকার পর্ন ইন্ডাস্ট্রির একটা নতুন দরজা খুলে যায়।

একদিন হঠাৎই স্বামীর কোম্পানির ওয়েবসাইটটি নজরে আসে ড্যান্নির। আর তারপরেই নিজেরও একটা ওয়েবসাইট খোলার ইচ্ছে জেগে ওঠে। ১৯৯৫ সালে ‘ড্যান্নিজ হার্ড ড্রাইভ’ বা ‘ড্যান্নি ডট কম’ নামক একটি ওয়েবসাইট খুলে ফেলেন এই পর্ন তারকা। কিন্তু সে সময়ে ওয়েব ডেভেলপারদের রমরমা বাজার না থাকার কারণে, নিজের হাতে করেই দুদিনের মাথায় ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছিলেন ড্যান্নি।

Advertisement

ওয়েবসাইটটি খোলার পরে রাতারাতি ইন্টারনেটের সেনসেশন হয়ে ওঠেন অ্যাশে। সে সময়ে আমেরিকার বড় বড় ম্যাগাজিনগুলোর সঙ্গে টক্কর দিচ্ছিল ‘ড্যান্নি ডট কম’। ‘ড্যান্নি ডট কম’-এ খুবই হালকা চালের পর্ন ছবি, ড্যান্নিকে নিয়ে লেখালেখি এই সব কিছুই থাকত। আর সেই পর্ন ছবিগুলোতে কোনো পুরুষ তারকা থাকতেন না।

এই ওয়েবসাইটের সুবাদেই ২০০১ সালে ৪৭ কোটি টাকার মতো রোজগার করেন ড্যান্নি অ্যাশে। আর তারপরেই ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এরও নজরে পড়ে যান এই পর্ন তারকা। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে, ‘মোস্ট ডাউনলোডেড উইমেন অন দ্য ইন্টারনেট’ খেতাবও জিতে নেন ড্যান্নি। সে বছর ৯৯ কোটি ৩০ লাখ ডাউনলোডের সুবাদে সিন্ডি মারগোলিসের পুরনো রেকর্ডটি ভেঙে চুরমার করে দেন এই পর্নস্টার।

২০০৪ সালে আমেরিকান মিডিয়া ইনভেস্টার জন মরিসানোকে নিজের ওয়েবসাইটটি বিক্রি করে দেন ড্যান্নি। লোকচক্ষুর অন্তরালেও চলে যান সেই সময় থেকেই। এখনও ইন্টারনেটে ড্যান্নি অ্যাশের যে ছবিগুলো পাওয়া যায়, তার অধিকাংশই ১৯৯৫-২০০০ সালের মধ্যেই তোলা হয়েছিল। এ বছর ৫০-এ পা দিলেন একসময়ের এই পর্নস্টার। তবে আজও ড্যান্নির কোনো খোঁজ নেই। আনন্দবাজার

এসআর/এমকেএইচ

Advertisement