নির্বাচনী প্রচারণায় প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কার্যক্রমে বাধা, হামলা-মামলার মাধ্যমে হয়রানি, ভীতি প্রদর্শনসহ আচরণবিধির লঙ্ঘন হলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দৃশ্যমান ‘নিষ্ক্রিয়তায়’ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
Advertisement
এ ছাড়া নির্বাচনী কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে গণমাধ্যমের সরাসরি সম্প্রচার না করার অনুরোধ এবং ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারে কমিশনের স্ববিরোধী অবস্থান জনমনে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে ইসির ওপর আস্থার সংকট আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, বহুল প্রতীক্ষিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণার শুরু থেকেই প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা ও মামলা করা হচ্ছে। হামলার মাধ্যমে বাধাদান, হয়রানি, ভীতিপ্রদর্শন করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিরোধী পক্ষের প্রার্থীরা শুধু ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হাতেই লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত হচ্ছেন না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রতিদিনই সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু ইসির তফসিল ঘোষণার পর থেকে জনপ্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তাই এ সবের দায় ইসির।
এইচএস/এএইচ/এমএস
Advertisement