উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় ‘জিয়া পরিবারের আসন’ হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী মোরশেদ মিলটনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
ফলে, ওই আসনেই ধানের শীষের প্রার্থী মোরশেদ মিলটনের প্রার্থিতা আর থাকলো না বলেও জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী সেলিনা আক্তার। একইসঙ্গে, নির্বাচন কমিশন থেকে দেয়া সিদ্ধান্ত কেন বাতিল করা হবে না এ মর্মে রুল জারি করেছেন।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে ‘জিয়া পরিবারের আসন’ হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে নির্বাচন করতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছিলেন গাবতলী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ মিলটন।
Advertisement
দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার ‘বিকল্প’ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী মোরশেদ মিলটনের মনোনয়ন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে পরের দিন শুনানি শেষে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মভিটা বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘বিকল্প’ প্রার্থী হতে গাবতলী উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন মিলটন।
২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের দিনে চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। অন্যদিকে দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ারও মনোনয়ন বাতিল করা হয়। ফলে আসনটিতে বিএনপিপ্রার্থী শূন্য হয়।
তার পদত্যাগ সঠিকভাবে হয়নি দাবি তুলে এই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফেরদৌস আরা খানের পক্ষে আইনজীবী সেলিনা আক্তার। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন। রিটে বলা হয়, বিএনপির প্রার্থী গাবতলীর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটনের পদত্যাগ নিয়ম অনুযায়ী হয়নি এবং ১৯৯৮ সালের উপজেলা পরিষদ আইন ১২ এর (১)(২) পরীপন্থী।
Advertisement
এই আসনের ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত পাঁচ দফায় প্রার্থী ছিলেন খালেদা জিয়া। তবে প্রতিবারই তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচন হয়েছে।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস