সম্প্রতি কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ারের ঘটনা বেশি ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ক্রসফায়ারগুলো চালানো হচ্ছে খোদ সরকার সমর্থিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীদের ওপর। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী এসব ঘটনায় উৎসাহ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এদিকে এরকম ঘটনায় আবারো নতুন করে আতঙ্কে পড়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। এই দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধারণা সরকার সমর্থিত সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বন্দুকযুদ্ধের নামে ক্রসফায়ারের থাবা পড়তে পারে তাদের ওপরও।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, গত ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে সরকার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীকে গুম খুন করেছে। তবে হঠাৎকরে ক্রসফায়ারের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নিজ দলের কয়েকজন নেতাকর্মীদের হত্যা করে এই থাবা বিরোধী শক্তির ওপর প্রয়োগ করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার পর ওবায়দুল কাদেরকেই বেশি পছন্দ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ওবায়দুল কাদেরকে আদর্শ হিসেবে মনে করেন তারা। অথচ ক্রসফায়ারের ঘটনায় ‘অ্যাকশন শুরু’ এ রকম উচ্ছ্বাসমূলক বক্তব্যে মন্ত্রী ছাত্রসমাজের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন বলে মনে করেন এই ছাত্রলীগ নেতা। এদিকে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ও আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন।রিপন বলেন, ছাত্রলীগ বলছে ক্রসফায়ারের নামে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে, এটা মানা যায় না। অপরদিকে ওবায়দুল কাদের বললেন, অ্যাকশন শুরু। মন্ত্রীর একথা থেকেই বুঝা যায়, ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করছে সরকার। ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সরকার স্বীকার করেছে, ক্রসফায়ার তারাই করাচ্ছে।বিএনপির মুখপাত্র বলেন, বিএনপি নেতাদের ক্রসফায়ারে হত্যা করলে ছাত্রলীগ ও সরকারের কিছুই যায় আসে না। আর সরকারি দলের কেউ ক্রসফায়ারে হত্যার শিকার হলে সরকারের যায় আসে। কিন্তু এক যাত্রার দুই নীতি মেনে নেয়া যায় না। এমএম/এসকেডি/একে/পিআর
Advertisement