আইন-আদালত

ভোটের পথ আটকে গেল বিএনপির তমিজ-মোহিত-বাদলের

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ আসনে বিএনপির প্রার্থী তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের ওপর চেম্বার আদালত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশই বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

Advertisement

একইসঙ্গে বগুড়া-৩ আসনে আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির প্রার্থী আব্দুল মোহিত তালুকদার ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের বিএনপির প্রার্থী শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদলের মনোনয়নপত্র অবৈধ করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ চলমান রেখেছেন আপিল বিভাগ।

ফলে উপজেলা পরিষদের এ তিন চেয়ারম্যান আর নির্বাচন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

Advertisement

আদালতে আজ চেয়ারম্যানদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও প্রবীর নিয়োগী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম।

তমিজ উদ্দিন : ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে তমিজ উদ্দিনের পদত্যাগপত্র গ্রহণের আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। রির্টার্নিং কর্মকর্তা ২ ডিসেম্বর তা বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ইসি ৬ ডিসেম্বর আপিল মঞ্জুর করে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করে। পরে এর বিরুদ্ধে রিট করেন ওই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বেনজীর আহমেদ। ১১ ডিসেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তমিজ উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে তমিজ উদ্দিনের আবেদনের পর বুধবার (১২ ডিসেম্বর) চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

মোহিত ও সরকার বাদল : উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করায় বগুড়া-৩ আসনে আদমদিঘী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপির প্রার্থী আব্দুল মোহিত তালুকদার ও বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের বিএনপির প্রার্থী শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদলের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে তারা হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ৯ ডিসেম্বর পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন। একইসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন। সোমবার পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ চলমান রেখেছেন। এফএইচ/এনএফ/পিআর

Advertisement